বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ধনী আর গরিব এলাকায় পানির মূল্য এক হওয়া উচিত নয়’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ ২৩:০৭

মন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় মানুষ পানির জন্য কলসি নিয়ে মিছিল করলেও সে চিত্র বর্তমান বাংলাদেশে নেই। কারণ, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্বটি ঢাকা ওয়াসা ঠিকভাবে করতে পেরেছে। এ ছাড়াও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনিকীরণ করার জন্য ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।’

ঢাকা শহরে ধনাঢ্য এলাকার পানির মূল্য আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত এলাকায় পানির মূল্য এক হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা ওয়াসার দক্ষতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় মানুষ পানির জন্য কলসি নিয়ে মিছিল করলেও সে চিত্র বর্তমান বাংলাদেশে নেই। কারণ, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্বটি ঢাকা ওয়াসা ঠিকভাবে করতে পেরেছে। এ ছাড়াও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনিকীরণ করার জন্য ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।’

ভর্তুকির টাকায় ধনীদের পানি সরবরাহের বিষয় নিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার এক হাজার লিটার পা‌নি উৎপাদনে খরচ হয় ২৬ থেকে ৩০ টাকা। ৩০ টাকা য‌দি উৎপাদন খরচ হয়, আর য‌দি তা ১৫ টাকায় বি‌ক্রি ক‌রি, তাহলে বাকি ১৫ টাকা ভর্তুকি কে দেবে? সরকারি টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ দেব? এটা অবশ্যই যৌক্তিক বিষয় নয়। তাই ধনাঢ্য এলাকার পানির মূল্য আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত এলাকার পানির মূল্য এক হওয়া উচিত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন মানুষ গুলশানে বসবাস করে, সেখানে তার প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়, আর যদি ওয়াসার পানির দাম মাসে ১০০/২০০ টাকা বেড়ে যায়, তাহলে গুলশানের মানুষের এটা সহ্য হবে না? তাহলে কি গরিব মানুষের থেকে টাকা এনে সরকার এই গুলশানের মানুষের জন্য পানিতে ভর্তুকি দেবে? তাহলে গরিব মানুষের প্রতি যে আমাদের কমিটমেন্ট আছে, তার কী হবে?’

তিনি বলেন, ‘ওয়াসার নিজেদের মধ্যকার কোনো দুর্নীতির কারণে যদি পানির দাম বাড়ে, তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু গরিব মানুষের টাকা এনে সেই টাকা থেকে ওয়াসার পানির দাম কম রাখার জন্য ভর্তুকি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি ওয়াসার পানির গুণগত মান আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের কাজ করতে হবে।’

ঢাকা ওয়াসার দায়িত্বে বর্তমান এমডি বারবার থাকার বিষয়ে নানান সময়ে মন্ত্রীকে সাংবাদিকরা নানান প্রশ্ন করেছেন এবং সময় শক্ত করে ধরেছেন বলেও জানান তিনি। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে একজন কর্মকর্তা ২০/৩০/৪০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। ওয়াসার এমডি বারবার কেন দায়িত্ব পেয়েছেন? কারণ তিনি তার যোগ্যতা ও সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। নিজের যোগ্যতার কারণে, কর্মদক্ষতার কারণে তিনি বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন।’

বাঙালি এখন আর ভিক্ষুক ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশ নয় এবং সারা পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নিজের অবস্থান তৈরি করছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন।

সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পালনকালে সব অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা মূল্যায়নপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি। ‘যেমন সব অধিদপ্তরের দক্ষতা মূল্যায়নপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সঙ্গে দপ্তরগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে।’- যোগ করেন মন্ত্রী।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সু‌জিত কুমার বালা প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর