সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকায় একটি সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার বিকেলে নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্র জানায়, পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) শ্রমিকরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এক শ্রমিক ফুয়েলিং স্টেশনের গাড়িতে গ্যাস দেয়ার একটি মেশিনের কাছেই গ্র্যান্ডার মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এ সময় গ্রান্ডার মেশিন থেকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে সেখানে আগুন লেগে যায়।
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তালতলা স্টেশনে খবর দেয়া হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ফুয়েলিং স্টেশনটিতে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে ফেলেন কর্মচারীরা।
আগুনে সিসিকের পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হন এবং ফুয়েলিং স্টেশনের এক কর্মচারী জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন- সিলেট মহানগরের ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার জাফর আলীর ছেলে মনতাজ মিয়া, মঙ্গল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া, মতি মিয়ার ছেলে আলম মিয়া, মিছির আলীর ছেলে মতি মিয়া ও রজনী চন্দ দাসের ছেলে সুভাষ দাস।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত ফায়ার ফাইটার সুহেল আহমদ বলেন, ‘খবর পাওয়ামাত্র আমাদের একটি ইউনিট সেখানে যায়। তবে আমাদের কর্মীরা যাওয়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।’
এ বিষয়ে নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে দগ্ধদের দেখতে সন্ধ্যায় হাসপাতালে যান সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দগ্ধদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় মেয়র আনোয়ারুজ্জামান পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশন দেন।