মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে দুটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দখলকৃত মেঘনা নদীর ১২০ বিঘা জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।
অভিযানে প্রায় ৩৫০০ ফুট দীর্ঘ দেয়াল ও কিছু স্থাপনা ভেঙে নদীর জায়গা উদ্ধার করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের একটি মামলার রায়ের পরিপেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের বাউশিয়া মৌজায় মেঘনা তীরবর্তী বসুরচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মেঘনার তীর ঘেঁষে ফকির গ্রুপ এবং প্যাসিফিক গ্রুপ নামে দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের দখলকৃত ১২০ বিঘা জমি থেকে ৩৫০০ ফুট দেয়ালসহ কিছু স্থাপনা ভেঙে তা দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে আমরা এখানে এসেছি। এ সংক্রান্ত মামলা চূড়ান্তর নিষ্পত্তি হওয়ার পরে সব প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার পর রোববার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলো। যৌথ জরিপের মাধ্যমে দখলকৃত জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে আজ আমরা সেখান থেকে অবৈধ স্থাপনা, সীমানা দেয়াল ভেঙে দিচ্ছি। যত প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান হোক না কেন আমরা তাদের কাছ থেকে দখলকৃত সব জায়গা উদ্ধার করব।’
বিষয়টি সম্পর্কে বিআইডব্লিউটিএর মেঘনাঘাট নদীবন্দরের উপপরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি প্রতিষ্ঠান নদীর প্রায় ১২০ বিঘা জমি দেয়াল উত্তোলন করে দখল করে ফেলেছিল। আজকের অভিযানে ফকির গ্রুপে দখলকৃত ১০০ বিঘা এবং প্যাসিফিক গ্রুপের দখলকৃত ২০ বিঘা জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা আমাদের লোকজন এবং এস্কেভেটর দিয়ে প্রায় ৩৫০০ ফিট দেয়াল ভেঙে দিয়েছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া যা চলতেই থাকবে।’
এদিকে অভিযানের সময় উপস্থিত ফকির গ্রুপের প্রতিনিধি বাবুল আহমেদ বলেন, ‘এই অভিযানের ব্যাপারে পূর্ব থেকে আমাদের কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। আজ সকালে অভিযানের খবর পেয়ে আমরা এখানে ছুটে আসি। এই জায়গাটি ডিসি অফিস থেকে আমাদের ইজারা দেয়া হয়েছে, আমরা তাদের সব কাগজপত্র দেখিয়েছি কিন্তু তারা সেগুলো আমলে না নিয়ে আমাদের স্থাপনা ভেঙে দিচ্ছে।’