নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতকালে পাঠ্যপুস্তকে তাদের বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন তারা।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুপক্ষের সাক্ষাৎ হয়।
এ সময় হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও লালখান বাজার মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মুফতি হারুন ইযহার, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, আরেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনীরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কওমি মাদ্রাসার নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যে পর্যবেক্ষণ গুলো তুলে ধরেছেন তার যৌক্তিক দিকগুলো নিয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে পাঠ্যক্রম সংশোধন করব। আগামীতেও সকলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান থাকবে। ইমান-আকিদা বিরোধী বিতর্কিত কোনো বিষয় যাতে না থাকে, এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার যত্নশীল। তবে দক্ষতা অর্জনের প্রশ্নে এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবিধানের মূল নীতিমালার সঙ্গে সন্নিবেশিত কোনো পাঠ্য, উপাত্ত বা তথ্যের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দল বা সামাজিক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সঙ্গে আমরা আপোষ করব না।’
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী অসুস্থ থাকায় সাক্ষাৎকালে উপস্থিত হতে না পারেননি। তবে তার পক্ষে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরীর নেতৃত্বে তিন যুগ্ম মহাসচিব শিক্ষামন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
নিজামপুরী বলেন, ‘মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আমাদের সকল কথা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন। তার সঙ্গে আলোচনায় আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি এবং সমস্যাসমূহ সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্ত হয়েছি। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- হেফাজত ইসলামের হাটহাজারীর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওয়ানা আসাদ উল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকী, মাওলানা জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।