বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র মৃত, দেশ-বিদেশে এটা প্রতিষ্ঠিত: মঈন খান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ২০:৫০

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, ‘প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে আমরা বিরোধী দলগুলো কয়েক বছর ধরে যা বলে এসেছি, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় সেসব কথারই প্রতিধ্বনি করেছে সারাবিশ্বের মিডিয়া ও বিভিন্ন রাষ্ট্র। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দলগুলো রাজপথ ছাড়বে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র মৃত। আর তা দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত। আমাদের একটাই লক্ষ্য, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। গণতন্ত্র ব্যতিরেকে অন্য কোনো পদ্ধতি এ দেশে চলবে না।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলো রাজপথ ছাড়বে না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ব্যতিরেকে অন্য কোনো পদ্ধতি কোনোদিন চলবে না।

তিনি বলেন, ‘এই সরকার বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় আছে। একথা যে শুধু আমরা বলছি তা নয়। সারাবিশ্বের মিডিয়া, বিভিন্ন রাষ্ট্রের যে বক্তব্য এসেছে সেগুলো দেখুন। ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন সম্পর্কে আমরা বিরোধী দলগুলো কয়েক বছর ধরে যা বলে এসেছি, বিগত নির্বাচনের সময় সেসব কথারই প্রতিধ্বনি করেছে তারা।

‘কাজেই দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে আজ এটা প্রতিষ্ঠিত যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র মৃত। এ অবস্থায় আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও প্রতিজ্ঞা- বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। আমাদের গণতন্ত্রের আন্দোলন চলবে। গণতন্ত্রের অধিকার যতক্ষণ না বাংলাদেশের মানুষকে ফিরিয়ে দিতে পারব, ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার ‘গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ কর্মসূচিতে স্বাক্ষর করেন আবদুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত

নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এটা ভোট হয়নি। আর সেজন্য আমরা এই গণস্বাক্ষরের ব্যবস্থা করেছি। আমরা কেবল দেশের ১০ কোটি ভোটার নয়, ১৭ বা ১৮ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছার চেষ্টা করব। অফলাইন ও অনলাইনে আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

‘শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার বিচার দাবিতে তার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া যেমন শান্তির সপক্ষে নীলিমা করেছিলেন… আমরাও বলেছি, গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর। এটাও আমরা ঘোষণা করছি যে, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে গণসংগীত করব, গণতন্ত্রের পক্ষে গণনাটক করব। আমরা সর্বত্র এই সরকারকে ধিক্কার জানাতে চাই।’

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ডিপ্লোমেটরা রাষ্ট্র-রাষ্ট্র সম্পর্কের ভিত্তিতে সৌজন্য সাক্ষাত করছেন, কথাবার্তা বলছেন। কেউ কেউ ফুল দিচ্ছেন। আর সরকার সেটাকে তাদের প্রতি দেশগুলোর একটা রাজনৈতিক সমর্থন বিবেচনা করে প্রচারের ডোমাডোল তৈরি করেছে। সরকার কতখানি নাজেহাল দেখেন!

‘পরিষ্কার করে বলতে চাই, কূটনীতিকদের এই ফুল নিয়ে যাওয়াকে যদি সরকার আরও পাঁচ বছরের জন্য লাইসেন্স হিসেবে বিবেচনা করে তাহলে বড় ধরনের ভুল করবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে কোনো ফ্যাসিস্ট গণহত্যা চালিয়ে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। এ দেশে একাত্তর সাল তার প্রমাণ। কাজেই আওয়ামী লীগ যত মিথ্যা, যত ভয় আর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করুক না কেন, তারা দেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। সময় ঘনিয়ে আসছে।’

সরকারকে উদ্দেশ করে সাকি আরও বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চিন্তে ঘুমানোর কোনো জায়গা নেই। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দেবে না। তারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই আন্দোলন দ্রুতই গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেবে।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় গণফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণঅধিকার পরিষদের নেতা বাবুল বিশ্বাস প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর