মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার যানবাহন উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এ ছাড়াও সঙ্গে আছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম।
শুক্রবার দুপুরে ফেরির যানবাহন উদ্ধারে যোগ দেয় হামজা ও রুস্তম। এর আগে দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে নৌপথে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে গিয়ে পৌঁছায় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরশেনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মোহাম্মাদ খালেদ নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুর ২টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় পাটুরিয়ায় পৌঁছায় এবং ডুবে যাওয়ার ফেরির বিষয়ে সার্বিক তথ্য নেয়। এর পর উদ্ধারকাজে জড়িত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুটি ট্রাক ও একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে।
খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘ফেরি উল্টে যাওয়ার কারণে ডুবন্ত যানবাহন উদ্ধারে সময় বেশি লাগছে। তবে যেহেতু প্রত্যয় উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে, সেহেতু আমরা আশাবাদী দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরি ও যানবাহন উদ্ধার করতে সক্ষম হব।’
নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের পিটি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার সহকারী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ন কবিরের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তার খোঁজে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও কাজ করছে। উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমরা অভিযান চালিয়ে যাব।’
এর আগে বুধবার দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিটি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে নোঙর করা অবস্থায় ছোট-বড় ৯টি যানবাহন এবং চালক-হেলপারসহ ২১ জন ব্যক্তিকে নিয়ে ডুবে যায়।
এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ফেরিটির সহকারী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ন কবির নিখোঁজ হন।