দেশের অন্য সব জেলার মতো ময়মনসিংহেও কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুরেও রোদের দেখা মিলছে না। সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়ছে ঘন কুয়াশা।
এমন অবস্থায় অনেকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া ফুটপাতের শীতের পোশাকের দোকানগুলোতে চোখে পড়ছে ক্রেতার ভিড়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর স্টেশনরোড, গাঙ্গিনাপাড়, নতুনবাজার, চড়পাড়া এলাকায় বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের সঙ্গে দামা-দামিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। যে যার মতো পছন্দের গরম কাপড় কিনে চলে যাচ্ছেন।
বিক্রেতারা জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। গত মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসজুড়ে গরম কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে ফুটপাতে তুলনামূলক কম দামে পণ্য পাওয়া যায়, যার কারণে ক্রেতাদের ভিড়টা এখানে বেশি থাকে।
তারা জানান, এ মার্কেটগুলোতে সোয়েটার, উলের পোশাক, ব্লেজার, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে।
কথা হয় সাইদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি গাঙ্গিনাপাড় এলাকায় বাসাবাড়ি হকার্স মার্কেটের সামনে ফুটপাত থেকে শীতের পোশাক কেনেন।
সাইদুল বলেন, ‘নিয়মিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এই শীতে গরম পোশাক না থাকায় গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই শীতে সোয়েটার কিনেছি।’
কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সকাল থেকে কৃষিকাজ করতে খেতে নামতে হয়, কিন্তু এখন প্রচণ্ড ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে আসে। তাই ফুটপাত থেকে সাধ্যের মধ্যে নিজের ও পরিবারের জন্য কিছু পোশাক কিনেছি।’
বেচাকেনা সম্পর্কে বিক্রেতা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে শীত বেড়ে যাওয়ায় শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। ডিসেম্বর মাসে এত বিক্রি হয় নাই। এখানে নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি আসে। শিশু ও বৃদ্ধদের কাপড় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ৪ সদর আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, ‘পাকা বিল্ডিংয়ের ঘরের ভেতরে থাকলেও তীব্র এই শীতের মধ্যে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ যাদের টিনের ঘরের ফাঁক দিয়ে কুয়াশা পড়ছে কিংবা যাদের ঘরই নেই তাদের কষ্ট হচ্ছে অনেক বেশি। এজন্য গত মঙ্গলবার বিকেলে সদরের প্রায় চার হাজার অসহায়-ছিন্নমূল মানুষের হাতে ‘উষ্ণ ভালোবাসা’ হিসেবে কম্বল তুলে দিয়েছি।’