বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাবিকে পেটানো দোকানিকে পিটিয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

  • প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ২৩:৪৬

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে মারার অধিকার ছাত্রলীগের নেই। ছাত্রলীগের কারও থেকে আমরা এটা প্রত্যাশা করি না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের এক ভ্রাম্যমাণ দোকানির বউকে মারধর করেন তারই ছোট ভাই অন্য এক দোকানি। ভুক্তভোগী দোকানি হল ছাত্রলীগের এক নেতার কাছে এর বিচার দিলে সেই নেতা অভিযুক্ত দোকানিকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সেই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতার নাম আসাদুজ্জামান ফরিদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

যে দোকানির বউকে মারা হয়েছে তার নাম রবিউল। তিনি ক্যাম্পাসে ফুচকা বিক্রি করেন। আর যে দোকানি মারধর করেছেন তার নাম আজিজুল। তিনি পিঠা বিক্রি করেন। সম্পর্কে তারা ভাই যার মধ্যে রবিউল বড়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রবিউল নিউজবাংলাকে বলেন, আমরা দুই ভাই এবং আমাদের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভ্রাম্যমাণ দোকান পরিচালনা করি। কিন্তু বাসায় গিয়ে ছোট ভাই আজিজুল প্রায়ই আমার বউয়ের গায়ে হাত তোলে। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমাকেও পেটায়। আমার বাবাকে এ ঘটনার বিচার দিলে তিনি আমার ছোট ভাইয়ের কোনো বিচার করেননি। যেহেতু আমরা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যবসা করি, তাই আমি ঘটনাটি ফরিদ ভাইকে (আসাদুজ্জামান ফরিদ) জানাই। পরে ফরিদ ভাই আমার ছোট ভাইকে কয়েকটা চড়-থাপ্পড় দিয়ে আমার বউয়ের গায়ে হাত না তুলতে তাকে নিষেধ করে দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর শুনেছি আমার ছোট ভাই এবং আমার বাবা সৈকত ভাইকে (তানভীর হাসান সৈকত) এ ঘটনার বিচার দিলে তিনি ফরিদ ভাইকে বহিষ্কার করেন। এখানে ফরিদ ভাইয়ের কোনো দোষ নেই।’

বহিষ্কারাদেশ পাওয়া আসাদুজ্জামান ফরিদ বলেন, ‘একজন ছোট ভাই তার বড় ভাইয়ের বউকে মারধর করেছে, কিন্তু বড় ভাই কিছু করতে পারছেন না। তাই মানবিক দিকটি বিবেচনা করে আমি ওই ছোট ভাইকে কয়েকটা চড়-থাপ্পড় দিয়েছি। তবে অন্যের পারিবারিক বিষয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করাটা আমার অপরাধ হয়েছে।’

অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও বিভিন্ন সময় আসাদুজ্জামান ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘আমার গায়ে হাত তুললেও রক্ষা পেতে পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষের গায়ে হাত তুললে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ আসায় দ্রুত তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

‘সাধারণ মানুষকে মারার অধিকার ছাত্রলীগের নেই। ছাত্রলীগের কারও থেকে আমরা এটা প্রত্যাশা করি না।’

এ বিভাগের আরো খবর