ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ না করেই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রিপোর্ট করেছে বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক কোনো জার্নাল টিআইবি’র এই গবেষণা প্রকাশ করবে না। কারণ এই গবেষণায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন নিয়ে যারা এই গবেষণা করেছেন, তাদের গবেষণার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আন্তর্জাতিক জার্নালে তাদের কোনো গবেষণা নেই। টিআইবির গবেষণা বৈজ্ঞানিক মিসকন্ডাক্টকে (অসদাচরণ) ছাড়িয়ে গেছে। তারা অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সুশীল সমাজ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে গবেষণার ফলাফল জনগণের সামনে তুলে ধরবে। টিআইবি যেটা করেছে সেটা গবেষণা নয়, এটা তাদের মতামত।’
এ আরাফাত বলেন, ‘নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হলেও নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা অনিয়ম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। টিআইবি-র প্রতিবেদনে অনিয়মের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের শক্ত অবস্থানকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। বরং মিথ্যা ছড়িয়ে তাদের মনোবল দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে।
‘তারা মানুষের মতামতকে তথ্য হিসেবে দেখিয়েছে। ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৫০টির ফল নিয়ে পুরো নির্বাচন ঘিরে তৈরি রিপোর্ট কখনও সঠিক হতে পারে না। এতো অল্প কেন্দ্রের ফলাফল বিশ্লেষণ করে কী করে এমন রিপোর্ট প্রকাশ করা সম্ভব?’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইসিকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গত ১৫ বছরে ব্যাপক সংস্কার এনেছে।
‘কিন্তু টিআইবিসহ অনেক স্বার্থান্বেষী মহল দেশের গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করতে ইসির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
‘আশা করি সুশীল সমাজ ও অন্যান্য নাগরিক ফোরাম দেশের স্বার্থে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে গবেষণা করবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে প্রতিটি সুশীল সমাজের তাদের মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। তবে আমি তাদের আর্থিক দুর্নীতি ছাড়াও বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতির কথাও মাথায় রাখার অনুরোধ জানাতে চাই।’