বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জিএম কাদেরকে সংসদীয় দলনেতা, আনিসুলকে উপনেতা বানালো জাপা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৯:৩৩

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে বিরোধী দলীয় উপনেতার দপ্তরে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভায় মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে চিফ হুইপ ও হাফিজউদ্দিন আহম্মেদকে হুইপ পদে মনোনয়ন দিয়েছে জাপা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছে দলটি। একইসঙ্গে দলটির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে চিফ হুইপ ও সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দিন আহম্মেদকে হুইপ পদে মনোনয়ন দিয়েছে জাপা।

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে বিরোধী দলীয় উপনেতার দপ্তরে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে নিউজবাংলাকে জানান মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু।

জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে এ সভায় মনোনয়নের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের এই মনোনয়নের চিঠি পাওয়ার পর স্পিকার তাতে সম্মতি দিলে জি এম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপ-নেতা, মুজিবুল হব চুন্নু জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ বিরোধী দলীয় হুইপ হিসেবে নির্বাচিত হবেন।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১১টি আসন পেয়েছে। ২২৩টি আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আর ৬২টি আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও এক সময়ে বিএনপির জোটে থাকা কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। নিরঙ্কুশ জয়ে গত ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনের পরদিন থেকেই জোর আলোচনা শুরু হয় কে বা কারা হচ্ছে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল। প্রথমে জাতীয় পার্টির এমপিরা শপথ নিতে না চাইলেও পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জোট হওয়ার আলোচনা শুরু হলে জাতীয় পার্টিও শপথ নেয়। দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শপথ শেষে বিরোধী দলে থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, আসন সংখ্যায় সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল যাকে নেতা নির্বাচিত করবে, তিনিই বিরোধীদলীয় নেতার আসন পাবেন। তার দলই হবে সংসদে প্রধান বিরোধী দল।

গত দুটি নির্বাচনের মতো এবারও দলীয়ভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। সে কারণে তারা দাবি করছে, দ্বাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দল তারাই।

কিন্তু জাতীয় পার্টির চেয়ে প্রায় ছয় গুণ বেশি আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর ফলে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা জোট করে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার আলোচনা শুরু হয়। এমনকি আইনমন্ত্রী এবং আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরাও বলে আসছেন যে আইনত এটা ‘সম্ভব’।

সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে ‘বিরোধী দলীয় নেতা’-এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- ‘স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত দলের নেতা, ক্ষেত্রমতো তিনিই দল বা অধিসঙ্ঘের নেতা।’

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা মন্ত্রী ও উপনেতা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান। বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) অধ্যাদেশে তাদের সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করা আছে। সংসদ ভবনে তাদের কার্যালয়ও রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর