‘দেশে বর্তমানে একসঙ্গে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য বলবৎ রয়েছেন বলে যে বিতর্ক উঠেছে তা ঠিক নয়। রাজনৈতিক কারণে সারাদেশে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এমর বক্তব্য ও বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তারা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে এমপি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
‘৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনের মাধ্যমে নতুন এমপিরা কার্যভার গ্রহণ করবেন। ওইদিন থেকেই নতুন সংসদ সদস্যরা এমপি হিসেবে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নতুন সংসদের অধিবেশন বসার পর বর্তমান সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘সংবিধানকে ঠিকভাবে ইন্টারপ্রেট না করে দেশে একসঙ্গে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন বলে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। সংবিধানের যে আর্টিকেলগুলো আছে সেটি সম্পর্কে তাদের সম্যক জ্ঞান নেই। রাজনৈতিক কারণে সারাদেশে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে তারা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন।’
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্টরা কিভাবে এমপির কার্যভার নেবেন সে বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদগুলো পড়ে শোনান আইনমন্ত্রী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপিরা কিভাবে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে বসলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর মন্ত্রীর কার্যক্রম চালাতে কোনো অসুবিধা নেই। কোনো মন্ত্রী এমপি হিসেবে কোনো কাজ করছেন না। এমপির কার্যভার গ্রহণ করার পরই মন্ত্রীরা এমপির কাজগুলো করবেন।’
প্রসঙ্গত, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বুধবার বলেন, ‘দেশে এই মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।’