ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় জোটের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
গণভবনে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ অবস্থানের কথা জানান বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সাক্ষাতের সময় অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি টানা চতুর্থ ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় ইইউ।
হোয়াইটলিকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব মো. নুরএলাহি মিনা বলেন, ‘গ্লোবাল গেটওয়ের আওতায় পরিবেশ, সুশাসন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ বর্তমানে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, তা আগামী দিনগুলোতে আরও বাড়ানো হবে।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, সম্প্রতি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম সামিটে ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ৪০৭ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে ইইউ।
ইবিএ (এভরিথিং বাট আর্মস) সুবিধার আওতায় বাংলাদেশকে দেয়া সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব।
প্রতিবন্ধী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রী গত ৫০ বছরে ইইউর সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।’
সরকারপ্রধান ইবিএর আওতায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি গ্লোবাল গেটওয়ে কর্মসূচির আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে বৃহত্তর সহযোগিতা কামনা করেন।