দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ তথা টিআইবির গবেষণার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে টিআইবি। এতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘একপাক্ষিক ও পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ অ্যাখ্যা দেয় সংস্থাটি।
নির্বাচন ‘অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ হয়নি মন্তব্য করে টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিসহ এই নির্বাচনের সার্বিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত। গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নের সঙ্গে এটা সাংঘর্ষিক।’
নির্বাচন ঘিরে ২০২৩ সালের জুন থেকে মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করে টিআইবি। দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৫০টি নির্বাচনি আসন বাছাই করে প্রত্যেক আসনে প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ওপর তথ্য সংগ্রহ এবং সরাসরি পর্যবেক্ষণের কথা জানায় সংস্থাটি।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিন পর কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশের অ্যাকসিডেন্ট (দুর্ঘটনা) নিয়ে একটা প্রতিষ্ঠান আছে না, যাদের কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। অথচ আমাদের কিছু কিছু মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করে। এখন অ্যাকসিডেন্টে যদি ১০০ লোক মারা যায়, তারা এটাকে ৫০০ বানাবেই।
‘এখন টিআইবিও অনেকটা এ রকম। তাদের গবেষণা তো তাদের বিষয়। এই গবেষণার নিরপেক্ষতা বাস্তবে আমরা খুঁজে পাই না।’
টিআইবির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না কিংবা সংস্থাটিকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘এই যে কথা বলছি, এটাই তো যথেষ্ট। তারা একপেশে, পক্ষপাতিত্ব করে, সেটা বলছি। সব ব্যাপারে কি মামলা ঠুকে দিতে হবে?’