‘বিএনপিসহ কিছু বিরোধী দল ভোট বর্জন করায় এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নতুন রণকৌশল নিয়েছিল। আর তার সোনালি ফসল আমরা ঘরে তুলেছি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বুধবার দলের যৌথসভায় এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে এই যৌথসভার আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করায় নতুন রণকৌশল করতে হয়েছে। তাই এবার সংসদে বড় একটা অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী। এবার নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে।’
‘নির্বাচন মোটামুটি সংঘাতমুক্ত হয়েছে। যারা নির্বাচনে আসেনি তারা অনেক কথাই বলেছে। তারা বলেছিল যে এই নির্বাচন হতে দেবে না। তাদের সেই আস্ফালন এখন কোথায় গেল?’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা ছিলেন। তারা বলার মতো কোনো কিছু দেখেনি।
‘শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বহু দেশ। সারা দুনিয়া বলছে, একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে একটা দল প্রশংসা করতে পারে না।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেশের গণতন্ত্র আরও দৃঢ় করেছেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীন। সে কারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকেও ইসি শো-কজ করেছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির মানুষ নেই। তাই নির্বাচনে এলে হেরে যাবে- এই চরম হতাশগ্রস্ত শিবিরে পরিণত হয়েছে বিএনপি। যে দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই সেই দল কীভাবে দেশের মানুষকে গণতন্ত্র দেবে?
‘এই বিএনপি অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে নেতা বানিয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানাতে বিএনপি তাদের সাত ধারা বাতিল করেছে।’
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি নিজেদের অফিসে তালা মেরে বলে সরকার তাদের অফিসে লাগিয়েছে। আবার তাদের অফিসের তালা তারাই ভেঙেছে। যারা অফিসে তালা লাগাতে পারে আবার ভাঙতেও পারে। তবে সংবিধান ভাঙা বিএনপির অফিসের তালা ভাঙার মতো না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কত রং দেখালেন! সেই পিটার হাসও শেখ হাসিনার সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’
যৌথ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা।