বাইরে থেকে তালা দিয়ে ঘরের চারদিক আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ ও ধোঁয়ায় তিন শিশু আহত হয়েছে। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবশ্য চিকিৎসা শেষে চারজনকে রাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলার দোহারে দিতপুর গ্রামে সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তের আগুনের শিকার পাঁচজন একই পরিবারের। তারা হলেন- জুলহাস ও তার স্ত্রী ফাহিমা আক্তার এবং তাবাসসুম, জান্নাত আক্তার ও জুনায়েদ। শিশু তিনটির বয়স ১৩ থেকে ৮ বছরের মধ্যে।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
আহতদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা দগ্ধ জুলহাসের ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সোমবার রাতে জুলহাসের পরিবারের সদস্য ও বেড়াতে আসা আমার এক ভাতিজি ঘুমিয়ে ছিল। রাত ৩টার দিকে কে বা কারা ঘরের চারপাশে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওরা বের হওয়ার চেষ্টা করে দরজা ধাক্কা দিলেও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় তা খুলতে পারেনি। পরে বাথরুমের ভেতরে গিয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরাসহ আমরা বাথরুমের দেয়াল ভেঙে তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই জুলহাস আওয়ামী লীগ করেন। নির্বাচনের সময় লোকজনকে খাবারও খাওয়ান। কারা কেন এই আগুন দিয়েছে আমরা বলতে পারি না। এলাকায় আমাদের কোনো শত্রু নেই বললেই চলে।’
জুলহাসের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন আগে আমাদের দূরসম্পর্কের এক আত্মীয় আমাদের বাসায় ছিল। তিন-চারদিন আগে সে বাসা থেকে চলে যায়। সে যে মাদকাসক্ত তা আমাদের জানা ছিল না। আমাদের কিছুটা সন্দেহ হয় সে এই আগুনের ঘটনা ঘটাতে পারে।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জুলহাস নামে একজনকে ভর্তি দেয়া হয়েছে। তার শরীরের তিন শতাংশ দগ্ধ হলেও ইনহেলেশন বার্ন রয়েছে। ফাহিমা আক্তার নামে আরেকজনের শরীরের চার শতাংশ দগ্ধ হলেও তা বড় কিছু নয়।