বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রূপগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ১০, ভাঙচুর-আগুন

  • প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ   
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ২২:৩০

সংর্ঘষের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলাসহ পরবর্তী আইনি কার্যক্রম পক্রিয়াধীন।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর ও গাড়ি এবং মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া ককটেল বিস্ফোরণসহ ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়ায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া। নির্বাচনে বিজয়ী হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। এ নিয়ে দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে তাদের প্রার্থীকে সমর্থন করেন।

তারা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে কম্বল বিতরণের আয়োজন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া সমর্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টার। একই সময় দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের গেইটের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নির্বাচনি পরবর্তী আলোচনা সভার আয়োজন করেন গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের সমর্থিত স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।

একই জায়গায় পাশাপাশি দুটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন জমায়েত হতে থাকেন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা ও অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের গেট ভেতেরে গিয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুরসহ একটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে আরেকটি পক্ষের লোকজন গিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থাকা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটান তারা।

খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে গাড়ির আগুন নেভায়।

রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে গুরুত্ব আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে দাউদপুর পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টার বলেন, এলাকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে শীত বস্ত্র বিতরণ করতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে চেয়ার টেবিল আনা হলে এসময় পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গেট ভেঙ হামলা করে এবং গাড়ি ও মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ছাড়া চেয়ার টেবিল ভাঙচুর চালায়। এ সময় আমার সমর্থকদের সঙ্গে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে, তবে আমি অবরুদ্ধ ছিলাম।

তবে দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরবর্তী আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা অবস্থানসহ মির্ছিল নিয়ে আসতে থাকে। এ সময় নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টারসহ তার লোকজন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিলসহ বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গোলাম দস্তগীর গাজীর ছবি ভাঙচুর করে।

সংর্ঘষের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলাসহ পরবর্তী আইনি কার্যক্রম পক্রিয়াধীন।

এ বিভাগের আরো খবর