জানুয়ারি থেকেই তীব্র শীত শুরু হয়েছে মেহেরপুরে। কনকনে শীতের সঙ্গে সোমবার পড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। সেইসঙ্গে ঠান্ডায় ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা রয়েছে ৮২ শতাংশ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়।
চার দিন পর শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলেও কমছে না শীতের দাপট। দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকায় জেলায় দেখা মিলছে না সূর্যের। দিনভর মাঝারি বাতাস থাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। তার সঙ্গে গতকাল যোগ হয়েছে গুঁড়ি বৃষ্টি। এতে ঠান্ডা বেড়েছে আরও।
কনকনে শীতের মধ্যে জীবিকার জন্য কাজের সন্ধানে ছুটছেন অনেকেই। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত কয়েকদিনের ছুটি দেয়ার দাবি জানান।
ইট ভাটার শ্রমিক মুকুল হোসেন বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে যে কনকনে শীতের সঙ্গে বাতাস বইছে তাতে হাত-পা কালা (ঠান্ডা) হয়ে যাইছে (যাচ্ছে)। তার পরও মাটি পানিতে হাত দিয়ে কাজ করা লাগছে।’
ব্যাটারি চালিত ভ্যানচালক গোলাম আলী বলেন, ‘আমি একটি স্কুলের ছেলে-মেয়েদের বাড়ি থেকে স্কুলে নিয়ে যাই, আবার তাদের বাড়িতে দিয়ে আসি। তবে গতকাল সকালে শীতের সঙ্গে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মধ্যে স্কুলে আসতে গিয়ে আমার সঙ্গে থাকা ছেলে-মেয়েদেরও কষ্ট হয়েছে অনেক।’
তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া নুর বিশ্বাসের বাবা বলেন, ‘আমি আমার বড় মেয়েকে বাইকে করে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময় দেখি, আমার মেয়ে কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে। গরম পোশাক পরেও শীত নিবারণ হচ্ছে না।’
আরে অভিভাবক জানান, নতুন বছরে সবেমাত্র পাঠদান শুরু হয়েছে। এখন যে পরিস্থিরি চলছে, এমন অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কয়েকদিনের জন্য ছুটি দেয়া উচিত।
বামন্দী আনন্দ ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বতর্মানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে করে বাহিরে চলাফেরাটাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এমন আবহাওয়াতে এমনিতেই শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে বিলম্ব হচ্ছে। তা ছাড়া তাদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়ে যাচ্ছে। সে কথা বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো আপাতত ছুটি থাকাটাই ভালো।’