তীব্র শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁয় ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।হাসপাতালে হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও নার্সদের।
এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সরেজমিনে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুরা ভর্তি আছে হাসপাতালে।
চার বছরের মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন সদর উপজেলার দুবলহাটি গ্রামের সুখী রানি। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের ডায়রিয়া হয়েছে। পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে রয়েছি, এখন একটু সুস্থ।’
নওগাঁ শহরের উকিলপাড়া মহল্লার বাসিন্দা রিমি খাতুন বলেন, ‘নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত আমার ১১ মাসের ছেলেকে দুই দিন আগে ভর্তি করেছি হাসপাতালে। ডাক্তাররা বলছে আরও চার থেকে পাঁচ দিন ভর্তি থাকতে হবে।’
মান্দা উপজেলার জোতবাজার এলাকার মানিক হোসেন জানান, তার ডায়রিয়া হয়েছে। তিন দিন হলো হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বর্তমানে হাসপাতালে ১৫০ জন রোগী ভর্তি আছেন জানিয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স ফারহানা আক্তার বলেন, ‘প্রতিদিনই প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছেন শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে। তাদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। আরও রোগী বাড়লে মেঝেতে চিকিৎসা দিতে হবে।’
নওগাঁ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার (সিএস) ডা. মো. রিফাত হাসান বলেন, ‘শীতজনিত কারণে হাসপাতালে স্বাভাবিকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে। শীতের গরম পোশাক পরিধান করাসহ ও ঠান্ডা খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিনই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। চাপ সামাল দিতে চিকিৎসক ও নার্সরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
‘বয়স্ক ও শিশুদের যাতে ঠান্ডা না লাগে, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। হাত-পায়ে মোজা পরাতে হবে। আবার ঘামে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’
শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত বলে জানান তিনি।