বাতাসের নিম্ন মানে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা শীর্ষস্থান ছেড়েছে, তবে নিম্ন মানের বাতাসের দিক থেকে প্রথম পাঁচ থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশের রাজধানী।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে সোমবার সকাল ৯টা ২৪ মিনিটে ১১০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। একই সময়ে বাতাসের নিম্ন মানে প্রথম ছিল পাকিস্তানের করাচি।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, সোমবার সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২৯ দশমিক ৩ গুণ বেশি। একই সময়ে করাচির বাতাসে কণাটির উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৪৫ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সকাল ৯টা ২৪ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৯৮। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।
একই সময়ে করাচির বাতাসের স্কোর ছিল ২৭৫। এর মানে হলো সে সময়টতে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় করাচিবাসীকে।