বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরিশাল এখন ‘ইমার্জেন্সী রোগী’

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৯:৪৫

মেয়র খোকন বলেন, ‘গত ১০ বছরে চরম অবহেলিত অবস্থায় ছিলো এই নগরী। নানা রোগে নগরীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে রোগ বাসা বেঁধেছে। বরিশালকে পুনরায় সুস্থ করে তুলতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নেয়া হয়েছে।’

‘বরিশাল নগরীর দায়িত্ব নেয়ার পর একসঙ্গে সব কাজে হাত দিতে হচ্ছে। কোনোটা বাদ রেখে কোনোটা ধরার সুযোগ নেই। বরিশাল এখন ইমার্জেন্সী রোগী। আর দ্রুত চিকিৎসার জন্য আমি যথাসাধ্য কাজ করছি।’

রোববার নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।

আলাপচারিতায় মেয়র খোকন বলেন, গত ১০ বছরে চরম অবহেলিত অবস্থায় ছিলো এই নগরী। নানা রোগে নগরীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে রোগ বাসা বেঁধেছে। বরিশালকে পুনরায় সুস্থ করে তুলতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নেয়া হয়েছে।

প্রশ্নের জবাবে আবুল খায়ের বলেন, বরিশাল নগরী জুড়ে থাকা খালগুলোর বেহাল দশা। পরিকল্পনা করে সেগুলো পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বরিশালের মানুষ হয়তো ভুলেই গেছে যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কম্পাউন্ডের মধ্যে একটি খাল রয়েছে। সেটি খনন ও পরিষ্কার করে পুনরায় পানিপ্রবাহ সচল করা হয়েছে।

এছাড়া নগরীর ২৩টি খালের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাগরদী খাল উদ্ধারের কাজ চলছে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি খালে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করা হচ্ছে। খালের দু’পাড়ে সৌন্দর্য্য বর্ধনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি সাগরদী খালের দু’পাড়ে এক কিলোমিটারের বেশি ওয়াক ওয়ে ও সাইকেলিং ওয়ে নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর থাকবে সাধারণ মানুষের বসার বেঞ্চ। আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মানুষ যেন খালের তীরে বসে অবসর সময় কাটাতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।

মেয়র খোকন বলেন, আমি এর মধ্যে একটি ড্রেন পরিষ্কার করতে লোক পাঠিয়েছিলাম। তারা ফেইল করেছে। ড্রেইনটির ম্যানহোল নেই। আর ময়লা জমে ভেতরে পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেছে। এখন সেটা ভাঙতেও কষ্ট হচ্ছে।

ড্রেনগুলো নিয়মিত মেইনটেন্যান্স না করলে জলাবদ্ধতা তো হবেই। আর সেটাই হয়েছে নগরীতে। খালগুলোকে মশা তৈরির কারখানা বানানো হয়েছে। কোনো কাজই হয়নি গত ১০ বছরে।

খোকন বলেন, নগরীর মধ্যে এখন ওভার পপুলারিটি। আমাদেরকে সেসব চিন্তা করেই এগুতে হচ্ছে। নগরীতে মানুষ যেভাবে ৮/১০ তলা ভবন নির্মাণ করছে সেটা আমাদের সবার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।

বর্ধিত এলাকার কলেবর আরও বাড়ানো হবে। আর মেগা প্রজেক্টগুলো সেখানেই বাস্তবায়ন করা হবে। কেননা বর্তমান মূল নগরীর মধ্যে জায়গা সংকট। যানবাহনগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ। যে যার ইচ্ছামতো যানবাহন নামাচ্ছে বরিশাল নগরীতে। এটা নিয়মের মধ্যে আনার জন্য আমরা কাজ করছি।

নিউজবাংলাকে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, বরিশাল নগরীকে বসবাসের উপযোগী শহরে রূপান্তর করা হবে। আর এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে আশা করছি। আমাদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো নির্ধারণের পাশাপাশি সমাধানের কাজও চলছে বেশ জোর গতিতে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবে যা করার দরকার তা-ই করার চেষ্টা করছি।

এ বিভাগের আরো খবর