ঢাকার আশুলিয়ায় বাসাবাড়িতে ডাকাতি করতে আসা একটি দলের ছোড়া গুলিতে কারখানার এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন।
ওই সময় ডাকাতদের আঘাতে আহত হয়েছেন আরও একজন।
আশুলিয়ার কুটুরিয়া উত্তরপাড়ার আমির দেওয়ানের বাড়িতে রোববার ভোররাতে ডাকাতদল হানা দেয়।
নিহত নিরাপত্তাকর্মী ৫৮ বছর বয়সী আবদুল কাদেরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানা এলাকায়। কুটুরিয়া এলাকার ‘নিট ২০০৭ লিমিটেড’ নামের কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তারা মাথা ও গলাসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় ফারুক দেওয়ান বলেন, ‘মজিবর দেওয়ানের ভাই আমির দেওয়ানের বাড়ির পেছনের গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাত দলের তিন সদস্য। পরে আমির দেওয়ান ও ডাকাতের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় আমির দেওয়ানের ভাই মজিবর দেওয়ান বুঝতে পেরে চিৎকার করলে তার ছেলে জানালা দিয়ে ডাকাতদের দেখতে পায়। এ সময় শটগাট দিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে মজিবুর দেওয়ানের ছেলে। এতে ডাকাতরাও গুলি ছোড়ে।
‘তাদের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে চিৎকার দিয়ে বাড়ির দিকে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় মানুন দেওয়ানের বাড়ির সামনে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে দেখে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। এতে নিরাপত্তাকর্মী আহত হলে তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তিনি মারা যান।’
আশুলিয়া থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, কুটুরিয়া এলাকায় একটি বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করেছিল একদল ডাকাত, কিন্তু বাধার মুখে ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। ডাকাতদের আঘাতে আরও একজন সামান্য আহত হয়েছেন, তবে ডাকাতরা তেমন কিছু নিতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রাণ হারানো ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।