হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে তার সঙ্গে কমছে তাপমাত্রা।
রোববার সকাল ৯টায় দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসে এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এর আগে, শনিবার এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবারও দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিম বাতাস দিনাজপুরের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো শীত পড়ছে। গত চারদিন ধরে এই জেলায় রোদের দেখা নেই। বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে দিনাজপুরের ওপর দিয়ে।
দিনাজপুর শহরের মর্ডান মোড়ের নৈশপ্রহরী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘রাত জেগে মার্কেটে পাহারা দিতে হয়। যে বাতাস তাতে তো ঘরের মধ্যেই শীত লাগে। বাইরে থাকাটা অনেক কষ্ট। যে কাপড় আছে তাতে শীত মানে না। একটু পুরাতন জামা কাপড়ের দোকানে আসছি যদি কম দামে কাপড় পাই।’
সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের যোগীবাড়ী গ্রামের আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘কয়েকটা ছাগল পালন করি। আমাদের যেমন শীত লাগলে বলতে পারি, অবলা জীবজন্তু তো বলতে পারে না। ঠান্ডা লাগলে অসুস্থ হবেই সেটা মানুষ হোক বা পশু। তাই ছাগলগুলোকে চটের বস্তা পরিয়ে দিছি।’
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দিনাজপুরের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। যা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। রোববার দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’