কয়েকদিন বিরতির পর আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। পৌষের শেষে এসে তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়ের মানুষ।
জেলায় আগের দিনের চেয়ে তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে রোববার সকালে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
শনিবার বিকেলে কিছুটা সূর্যের মুখ দেখা যাওয়ায় ওইদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত একসপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত এই জনপদ।
মাঝেমধ্যে সূর্য উঁকি দেয়ার চেষ্টা করলেও মুহূর্তেই মেঘ এসে ঢেকে ফেলছে সূর্যকে। বিকেলের দিকে মেঘ সরিয়ে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও উত্তরের কনকনে হিম শীতল বাতাসে উষ্ণতা কমে যায়। সন্ধ্যা থেকেই ভারি কুয়াশায় ঢেকে যায় পুরো জেলা।
দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তর দিক থেকে আসা কনকনে শীতল বাতাসে বেশি কাবু হয়েছে মানুষজন।
কয়েকদিনের মতো শনিবারও দেখা যায়, দিনভর আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হয়নি অনেকেই।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ‘আজ (শনিবার) ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্যের। বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে। উত্তরপূর্ব বা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।’
এদিকে নির্বাচনের ডামাডোলে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিমাণ অনেক কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে খুব কম সংখ্যক শীতবস্ত্র বিতরণ হচ্ছে এবার।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শীত মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন উপহার হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত ২৮ হাজার কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলছে। আরও শীতবস্ত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই পাওয়া যাবে।’