টানা কয়েক দিন ধরে দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া, রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকা ঘন কুয়াশায় পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ ডিগ্রির ঘরে। রাতে অনবরত ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন অসহায় ছিন্নমূল মানুষ।
শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, ‘তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুর জেলায়। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে এবং শীতের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পাবে।’
তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজ নগর এলাকায় চা পাতা কাটতে আসা একরামুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের কারণে আমরা আগের মত কাজ করতে পারছি না। মানুষ কত কিছু পায় এই শীতে কিন্তু আমরা একটা পাতলা কম্বলও পাই না।’
একই কথা বলেন আরেক চা চাষি মহসিন ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগে কাজে আসতাম ভোর বেলায়। আর এখন শীতের কারণে কাজে আসতে হয় সকাল ৮টার দিকে। শীতকালে আমাদের পাতা কাটতে অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু নিরুপায় হয়ে আমরা বাধ্য হয়ে কাজে আসি।’
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শীত আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা জেলা ও পাঁচ উপজেলায় শীত বস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। চাহিদাপত্র তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। যারা প্রকৃত শীতার্ত মানুষ তাদের মধ্যেই এই শীত বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।’