নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ল্যাবএইড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনেস্টিক সেন্টার থেকে হাবিবুর রহমান নামে নিউরো মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক পরিচয় দেয়া এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেইসঙ্গে দেয়া হয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদণ্ড।
সাজাপ্রাপ্ত ৪৭ বছর বয়সী হাবিবুর রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বাওনারা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে ল্যাবএইড হাসপাতালের নোয়াখালী শাখা থেকে ওই ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১-এর একটি দল।
র্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, ভুয়া ডাক্তার রাকিব আহসান নিজেকে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে রোগী দেখার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন- এমন খবরের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এবং জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ আল জিনাতসহ ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিকের নোয়াখালী শাখায় অভিযান চালায়। এ সময় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে একজন স্বীকৃত চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেয়ার অপরাধে হাবিবুর রহমানকে মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তি নিজেকে ডা. রাকিব আহসান ও ডা. মো. রাকিব হাসান শুভ নামে পরিচয় দিলেও তার প্রকৃত নাম হাবিবুর রহমান। তিনি নিজেকে এমবিবিএস ও নিউরো মেডিসেনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মেডিল্যাব জেনারেল হাসপাতাল, মানিকগঞ্জ; আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঈশ্বরদী, পাবনা; কুয়েত প্রবাসী হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বরগুনা; ভোলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভোলা ও কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক ল্যাব, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্বমানধন্য হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতেন।