সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাড়ির সামনে রাখা ময়লার ড্রামের ভেতর ফেলে রাখা একদিনের এক নবজাতককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে শিশুটিকে কে বা কারা ফেলে রেখে গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ ও স্থানীয়রা।
শুক্রবার ভোরে আশুলিয়ার গোরাট এলাকায় সিনসিন গার্মেন্টসের পাশে মো. আশরাফুলের বাড়ির সামনে রাখা ময়লার ড্রাম থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।
নবজাতকটিকে উদ্ধারকারী স্থানীয় আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘এলাকায় আমার একটা রিকশার গ্যারেজ আছে। আজ ভোরে গ্যারেজে এক চালক তার রিকশা চার্জে দিয়ে বাইরে গিয়ে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়। পরে আমাকে ডেকে নিয়ে গেলে, আশরাফুলের বাড়ির সামনে রাখা ময়লার ড্রামে পলিথিনি মোড়ানো এক নবজাতককে দেখি। পিয়াজ, রসুন ও ফুলকপির উচ্ছিষ্ট অংশ দিয়ে বাচ্চাটিকে পলিথিনে মুড়িয়ে এখানে কে বা কারা ফেলে রেখে গেছে। পরে গার্মেন্টসের এক নারী বাচ্চাটাকে তার বাসায় নিয়ে সেবা করেন। এরপর ভোরে আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে বাচ্চাটাকে ভর্তি করি।’
আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের এনআইসিউ ও পেডিয়াট্রিক বিভাগের কনসাল্ট্যান্ট ডা. অনিমা ফেরদৌস বলেন, ‘শিশুটিকে ভোর ছয়টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। সে সময় তার পুরো শরীর বরফের মতো শীতল ছিল। দ্রুত শিশুটিকে এনআইসিইউতে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত শীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকাসহ নাড়ি দিয়ে রক্তক্ষরণের কারণে শিশুটির অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।’
আশুলিয়া থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, ‘ময়লার ড্রাম থেকে এক নবজাতককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে শিশুটিকে কে বা কারা ফেলে রেখে গেছে তার খোঁজ চলছে। এ ছাড়া অনেকে শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইছেন। তাদের আইনগতভাবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’