যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও জোটের দূতরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে অভিনন্দন জানাতে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে শুক্রবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বঙ্গভবনে নবনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রিপরিষদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রগুলোসহ প্রায় সকল দেশের রাষ্ট্রদূতরা ছিল। অর্থাৎ বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাতে তারা সবাই গিয়েছিল।’
নতুন দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মধ্যে যে পরিতৃপ্তি আছে, সেটি অন্য কিছুতে নেই। তথ্য মন্ত্রণালয় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি আপনাদের সহযোগিতায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি।
‘এখন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এবং পৃথিবীতে এখন বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ চলছে। সেই প্রেক্ষাপটে এটি অবশ্যই চ্যালেঞ্জ।’
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চ্যালেঞ্জ জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করে দেশের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আস্থায় রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন।
‘ইনশাল্লাহ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করব। পূর্ব-পশ্চিম সবার সাথে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটাব।’
তিনি বলেন, “আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘কারো সাথে বৈরিতা নয়, সবার সাথে সুসম্পর্ক’ এবং সেই নীতি নিয়েই আমরা সবার সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলব।”
আড়াই মাস পর বৃহস্পতিবার তালা ভেঙে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রবেশের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে কাগজে দেখলাম, বিএনপি তালা ভেঙে তাদের অফিসে ঢুকেছে। অথচ তালাটা কিন্তু তারাই লাগিয়েছিল। তারাই লাগিয়ে তারাই ভাঙছে। অর্থাৎ একটা নাটক দেখাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নিজেরাই এই তালা লাগিয়েছিল। ৭৫ দিন ধরে কেউ যায় নাই। চাবি ইচ্ছে করে হারিয়ে ফেলেছে বা চাবি আছে। এরপরেও এভাবে তালা ভাঙার একটা নাটক করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার একটা অপচেষ্টা করছে।’