বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবেক ওসি সরওয়ারের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র

  • প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ   
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৫৮

দুদকের স্থানীয় সূত্র জানায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে গত ২০২২ সালের ২৯ ও ৩০ মে ওসি গোলাম সরওয়ার এবং তার তিন ছেলে এনামুল হক মাসুম, নাজমুল হক মারুফ ও মঞ্জুরুল হক মামুনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন দুদকের সমন্বিত ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডল।

ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ওসি গোলাম সরওয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনের জন্য সুপারিশসহ বৃহস্পতিবার এই অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুদকের বিভাগীয় কার্যালয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা তালেবুর রহমান। অনুমোদন পেলেই ময়মনসিংহ আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় সাবেক ওসি গোলাম সরওয়ার ছাড়াও তার তিন ছেলের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। মামলা করার ১৯ মাস পর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনের জন্য এই অভিযোগপত্র (এমই) পাঠানো হয়।

দুদকের স্থানীয় সূত্র জানায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে গত ২০২২ সালের ২৯ ও ৩০ মে ওসি গোলাম সরওয়ার এবং তার তিন ছেলে এনামুল হক মাসুম, নাজমুল হক মারুফ ও মঞ্জুরুল হক মামুনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন দুদকের সমন্বিত ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডল।

প্রাথমিক তদন্তে তিনজনের মোট তিন কোটি ৪৫ হাজার ৩৫৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ মানিলন্ডারিংয়ের প্রমাণ পায় দুদক।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছেলে এনামুল, নাজমুল ও মঞ্জুরুল অপ্রাপ্ত বয়স ও বেকার অবস্থায় এই সম্পদের মালিক হন। গত ২০২২ সালের ১৫ জুন ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দিন এর আদালতে গোলাম সরওয়ার আত্মসমর্পণ করতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে গোলাম সওরয়ার তার তিন ছেলেসহ জামিনে রয়েছেন।

পুলিশের কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পাওয়া ওসি গোলাম সরওয়ার ২০১৫-২০১৬ সালে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) হিসেবে অবসরে যান।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকার ১০ তলার ১২টি ফ্ল্যাট ও রাজধানী ঢাকার আদারের শেখেরটেক শ্যামলী হাউজিংয়ে আটতলা বাড়ি ছাড়াও ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুর, বলাশপুর, চুরখাই ও টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার নিজ গ্রামে তার সম্পদ রয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক তালেবুর রহমান বলেন, ‘মামলার তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার সুপারিশসহ অভিযোগপত্র অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর