এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। লাইনটি তার জন্য যথেষ্টই প্রযোজ্য। তিনি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, যিনি এ আরাফাত নামে সমধিক পরিচিত।
একাদশ জাতীয় সংসদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েই জয়। দ্বাদশ নির্বাচনে তারই ধারাবাহিকতা। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথের একদিন পরই বঙ্গভবন থেকে আমন্ত্রণ। পেলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন তিনি।
চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনে গত বছরের ১৭ জুলাই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আরাফাত। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলমকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এমপি হন। চলতি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও পান বিপুল বিজয়। ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্পধারা বাংলাদেশের আইনুল হক পান এক হাজার ৩৮০ ভোট।
ঢাকা-১৭ আসন রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। সংসদে আসন নম্বর ১৯০। এই আসনে মোট কেন্দ্র ১২৪টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৮৩ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৪ জন।
পেশায় শিক্ষক এ আরাফাত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। টক-শোতে সরকার পক্ষের হয়ে নানা যুক্তি তুলে ধরে লাইম লাইটে আসেন তিনি। অবশ্য আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতিবিদ।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ, ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্রের মতো বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।
তরুণ এই রাজনীতিবিদ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। এরপর দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ে কাজ শুরু করেন। দলের পক্ষে অন্য অনেকের সঙ্গে মিলে আরাফাত বিভিন্ন কূটনীতিকসহ বিদেশিদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এমনকি নিকট অতীতে নির্বাচন ইস্যুতে দলের পক্ষে বিদেশিদের কাছে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে সামর্থ্যের প্রমাণ দেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব অপর্ণ করে মোহাম্মদ এ আরাফাতের মেধা, পরিশ্রম এবং সামর্থ্যকে মূল্যায়ন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।