বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকার বিরোধিতা করায় যুবলীগ নেতাকে মারধর, ভিডিও ধারণ

  • প্রতিনিধি, পঞ্চগড়   
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ ২২:৩৫

পঞ্চগড় সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক শাহাদত হোসেন সাদাত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের ভাসানী পার্ক এলাকায় এই হামলার শিকার হন। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী-সমর্থক তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ভিডিও ধারণ করে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনি সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকায় যুবলীগের এক নেতাকে মারধর করেছে পঞ্চগড়-১ আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান মুক্তার কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় মারধর ও লাঞ্ছিত করার দৃশ্য ভিডিও করেন হামলকারীরা।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক শাহাদত হোসেন সাদাত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের ভাসানী পার্ক এলাকায় এই হামলার শিকার হন। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী-সমর্থক তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ভিডিও ধারণ করে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনি সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

হামলাকারীদের ধারণ করা ভিডিওটি বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, যুবলীগ নেতা শাহাদতকে একসঙ্গে ১০ থেকে ১৫ জন মারধর করছেন। এ সময় তিনি অসুস্থ বলে উল্লেখ করলেও হামলাকারীরা ছাড় দেয়নি। একসঙ্গে কিল-ঘুষি ও কাঠ দিয়ে মারধর করতে থাকে।

ভিডিওতে হামলাকারীদের বলতে শোনা যায়, আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কথা বলায় তাকে মারধর করা হচ্ছে। মারধরের পর আর কখনও সাংসদ মুক্তার বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলার অঙ্গীকার করতে বাধ্য করা হয় তাকে। মারধর ও লাঞ্ছিত করার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

শাহাদত জানান, সদর উপজেলার পুকুরীডাঙ্গা এলাকায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ইজিবাইকে করে তিনি পঞ্চগড় জেলা শহরে যাচ্ছিলেন। পথে শহরের জালাসী ভাসানী পার্ক এলাকায় পৌঁছলে তাদের বহন করা ইজিবাইকের গতিরোধ করে ওই এলাকার মফিজুল, জহিরুল, আল আমিন, রফিকুল. শরিফ, হাসিবুল, নাঈম ও ফরিদসহ ১০ থেকে ১৫ জন তাকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে। তারা নবনির্বাচিত এমপির কর্মী-সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

শাহাদত বলেন, ‘সারা দেশেই নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমাদের এখানেও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে আমি সম্রাটের হয়ে কাজ করেছি। এটাই আমার অপরাধ।

‘আমি ডাক্তার দেখানোর জন্য যাচ্ছিলাম। বার বার তাদের বলেছি যে আমি অসুস্থ। তারপরও তারা আমাকে ছাড় দেয়নি। যারা আমার ওপর হামলা করেছে তারা কখনও দলের আগে-পিছে ছিলো না। নাঈমুজ্জামান মুক্তা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তারা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। এর আগেও ৫ জনকে তারা মারধর করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর