বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যারিস্টার সুমনের জয়ে ফুচকা বিক্রেতার কাণ্ড

  •    
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৭:২৫

ফুচকা বিক্রেতা মামুন বলেন, ‘ব্যারিস্টার সুমনের মতো মানুষগুলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন। তাদের তো উৎসাহিত করা দরকার। নয়তো কেউ এরকম এগিয়ে আসবে না। মূলত সুমন ভাইয়ের দুর্নীতিবিরোধী কাজে উৎসাহ দেয়ার জন্যই আমি এই উদ্যোগটা নিয়েছি। কোনোদিন দেখা হলে ওনাকে একবার জড়িয়ে ধরতে চাই।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জনপ্রিয় মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চলতি পথে সামাজিক নানা অসঙ্গতি ও দুর্নীতি নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই। সে সুবাদে তার জনপ্রিয়তাও দিন দিন বেড়ে চলেছে।

আওয়ামী ঘরানার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই আইনজীবী গেল দুই সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিজয়ী হয়ে নিজের জনপ্রিয়তার প্রমাণ রেখেছেন।

এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বাইরের কেউ বিজয়ী হতে পারেননি। তার এমন জয় উদযাপন করতে এক মণ মিষ্টি বিতরণ করেছেন চট্টগ্রামের এক ফুচকা বিক্রেতা। মনিরুল ইসলাম মামুন নামের ওই ক্ষুদে ব্যবসায়ীর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের চৌমুহনীতে হলেও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে থাকেন নগরীর অক্সিজেন এলাকায়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন এলাকায় নিজের রিসিপি ফুড নামের চটপটি-ফুচকা বিক্রির দোকানে পথচারীদের মাঝে এসব মিষ্টি বিতরণ করেন মামুন।

তিনি জানান, ফেসবুকে ব্যারিস্টার সুমনের বিভিন্ন ভিডিও দেখে ভালো লাগে তার। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুমনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়ে ফেসবুকে তাকে অনুসরণ করা শুরু করেন। মাসখানেক আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুমন প্রার্থী হওয়ার পরই মামুন ঠিক করেন তার পছন্দের এই মানুষটি জয়ী হলে নিজের টাকায় জনসাধারণের মাঝে এক মণ মিষ্টি বিতরণ করবেন।

৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ শেষে ব্যারিস্টারি সুমন বিজয়ী হওয়ার পর মামুন বৃহস্পতিবার মিষ্টি বিতরণের দিন নির্ধারণ করেন।

এদিন বিকেলে নগরীর অক্সিজেন এলাকায় মামুনের দোকানে গিয়ে সাধারণ মানুষের জটলা দেখা যায়। দোকানের সামনের রাস্তা দিয়ে চলাচল করা পথচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের মিষ্টি খাইয়ে দেন মামুন। এসময় সাধারণ মানুষকে মিষ্টি খাইয়ে ব্যারিস্টার সুমনের জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানান তিনি।

মনিরুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘আমি ব্যারিস্টার সুমন সাহেবকে ফেসবুকে দীর্ঘদিন ধরে ফলো করি। তার সব লাইভ ভিডিও আমি দেখেছি। তিনি যেভাবে বড় বড় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন, তার মতো আর কেউ বলেন না। তিনি জীবনের মায়া ত্যাগ করে বড় বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। ওনার লাইভের কারণে অনেক দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা গেছে। ওনার নির্বাচনি আসন চুনারুঘাট হলেও আমার মতো ভক্ত সারাদেশেই আছে।’

মামুন বলেন, ‘এই যে ব্যারিস্টার সুমনের মতো মানুষগুলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে, তাদের তো উৎসাহিত করা দরকার। নয়তো কেউ এরকম এগিয়ে আসবে না। মূলত সুমন ভাইয়ের দুর্নীতিবিরোধী কাজে উৎসাহ দেয়ার জন্যই আমি এই উদ্যোগটা নিয়েছি। ওনার কাজগুলোর জন্যই ওনাকে ভালোবাসি। কোনোদিন দেখা হলে ওনাকে একবার জড়িয়ে ধরতে চাই।’

মামুনের দোকান থেকে মিষ্টি খেয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন সেট ব্যবহার করি না। তাই ব্যারিস্টার সুমন নামের ওই লোক সম্পর্কে জানতাম না। তিনি নাকি অনেক ভালো কাজ করেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন। এটা জেনে খুব ভালো লেগেছে।’

৩৫ বছর বয়সী ফুচকা বিক্রেতা মামুনের দৈনিক আয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এতে তার মাসিক আয় দাঁড়ায় ২১ থেকে ২৪ হাজার টাকা। সে হিসাবে তার মিষ্টি বিতরণের আয়োজন করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক মাসের আয়।

মিষ্টি বিতরণের সময় মামুনের দোকানে ছিলেন তার স্ত্রী আকলিমা আক্তার আঁখি। তিনি বলেন, ‘উনি (মামুন) ব্যারিস্টার সুমন সাহেবকে খুব পছন্দ করেন। ওনার মুখে ওনার (সুমন) কথা শুনে আমাদেরও ভালো লাগে। উনি খুশি হয়ে মানুষকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন, আমাদেরও আনন্দ লাগতেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর