বরিশালের মুলাদীতে সন্তানকে বিষপান করিয়ে হত্যার পর তাসলিমা বেগম নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের আবদুর রশিদের বাড়িতে বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ১৩ বছর বয়সী মেহেনাজ আক্তার বাহাদুরপুর গ্রামের মাহাবুব হালাদারের মেয়ে।
মুলাদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক কলহের সূত্র ধরে স্বামী মাহাবুব হাওলাদারের সঙ্গে বুধবার সকালে ঝগড়া হয় তাসলিমা বেগমের। এরপর মাহাবুব কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে সবার অজান্তে প্রথমে মেয়েকে বিষাক্ত দ্রব্য সেবন করিয়ে হত্যা করেন তাসলিমা এবং নিজেও বিষাক্তদ্রব্য সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।’
তাসলিমার স্বামী মাহাবুব হাওলাদার জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে সকালে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। পরে তিনি কৃষিকাজে ক্ষেতে চলে যান। দুপুরের দিকে বাড়ির লোকজনের কাছে জানতে পারেন বিষপানে তার শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে মেহেনাজের মৃত্যু হয়েছে এবং স্ত্রী তাসলিমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে তাসলিমা বেগম মেয়েকে হত্যার পরে নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরাও।
তাদের দাবি, মেয়ের মৃত্যু হলে তাসলিমা নিজেও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে বাড়ির লোকজনই তাসলিমাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
মুলাদী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তানজিলা সুখী জানান, চিকিৎসার মাধ্যমে তাসলিমাকে কিছুটা সুস্থ করে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মুলাদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।
‘অপরদিকে তাসলিমা বেগমকে প্রথমে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
তিনি আর বলেন, ‘আইনানুযায়ী সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাসলিমা সুস্থ হওয়ার পরে তার বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’