নির্বাচনে জয়লাভ করলে সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন কুমিল্লা-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
এমপি হিসেবে বুধবার সকালে শপথ গ্রহণ শেষে দেবিদ্বারে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিলেন স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত মো. আবুল কালাম আজাদ।
নির্বাচনে শপথ নেয়ার দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ঘোষণা দেন তিনি। এতে উপজেলার দুই শতাধিক সিএনজি স্ট্যান্ড, অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান থেকে চাঁদা (জিপি) আদায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণায় ক্ষুদ্র যানবাহন চালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
কুমিল্লা-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, দেবিদ্বার পৌরসভাসহ দেবিদ্বার উপজেলা সদর, বাগুর, গুনাইঘর, ফতেহাবাদ, ভানী, রাজামেহার, এলাহাবাদ, শালঘর, ইউসুফপুর, রসুলপুরসহ দুই শতাধিক সিএনজি স্ট্যান্ডে গত ১০ বছর যাবত সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের নাম ভাঙিয়ে তার লোকজন ইজারা নিয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতেন।
স্থানীয়রা জানান, সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির কারণে অনেকটাই অতিষ্ঠ ছিল খেটে খাওয়া ক্ষুদ্র যানবাহনের চালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। ফলে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে রায় দেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আবদুল আলিম ও বিল্লাল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন তারা এই চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন। চাঁদা দিতে রাজি না হলে অসংখ্য চালককে নির্মম নির্যাতনও করা হয়। তারা পেটের দায়ে অটোরিকশা চালান। চাঁদাবাজরা দৈনিক, মাসিক ও বার্ষিক বিভিন্ন হারে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত এমপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গরিব অসহায় মানুষের কাছ থেকে যারা চাঁদা নিয়েছে তারা এ নির্বাচনে সঠিক জবাব পেয়েছে। আমি এসেছি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। কোনো সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি চলবে না।
‘মানুষ স্বস্তিতে থাকবে, ব্যবসা-বাণিজ্য করবে, স্বাভাবিক জীবনযাপন করবে। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধ করে সমৃদ্ধ দেবিদ্বার গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করব।’