বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজশাহীর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান

  • প্রতিবেদক, রাজশাহী   
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৮:৪০

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনের প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ও রাজশাহী-৬ আসনের রাহেনুল হক রায়হান ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়ে এই দুই নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ করে ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী। তারা হলেন রাজশাহী-১ আসনের প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ও রাজশাহী-৬ আসনের রাহেনুল হক রায়হান। তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে বুধবার পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন তারা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন।

রাহেনুল হক রায়হান নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে ফল বাতিলের দাবি জানান। ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রায়হান বলেন, ‘ভোটে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কালো টাকা ব্যবহার করেছেন। নির্বাচনের পরও আমাদের কর্মীদের মারধরসহ বাড়িঘর পোড়ানো হচ্ছে।

ভোটের দায়িত্বে থাকা পোলিং ও প্রিসাইডিং অফিসারের আচরণে পক্ষপাতিত্ব ছিলো। বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখেছি কক্ষ বন্ধ করে তারা কাজ করছিলেন। প্রশ্ন করলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।’

রাহেনুল হক রায়হান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে এখানে মনোনয়ন পান বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

পৃথক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ধরেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী। ভোটের পর নির্বাচিত সংসদ সদস্য তার কর্মী-সমর্থকদের নির্যাতন করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষেই আমি ভোটে জয়যুক্ত হয়েছি বলে মনে করি। ফল পরিবর্তন করে আমাকে পরাজিত দেখানো হয়েছে। এর যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত আমার কাছে আছে।’

তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন গোদাগাড়ী-তানোরে কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় দুই উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় প্রিসাইডিং অফিসাররা ভোটের ফল পরিবর্তন করেছেন।

এর অংশ হিসেবে প্রিজাইডিং অফিসাররা কৌশলে আমার এজেন্টদের কাছ থেকে ফলাফল ঘোষণার আগেই ফলাফল শিটে স্বাক্ষর করে নিয়ে নেনে। তাদেরকে ভোট গণনার সময় কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। আমার প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর ভোটের দিনই লিখিত অভিযোগ দিলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেননি।

গোলাম রাব্বানী নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে গোদাগাড়ী-তানোরে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।

এ বিভাগের আরো খবর