বোরো মৌসুমে চাষের জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত দুইটি ধানের জাত এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত একটি গমের জাতের নিবন্ধন ও ছাড়পত্র দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড।
একইসঙ্গে বোরো মৌসুমে চাষের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ১০টি হাইব্রিড জাতের ধানের নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। খবর ইউএনবির।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিসচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১১১তম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
ব্রি-ধানের জাত দুইটি হলো- ব্রি-ধান ১০৭ ও ব্রি-ধান ১০৮। ব্রি-ধান ১০৭ প্রিমিয়াম কোয়ালিটির। এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ৮ দশমিক ২০ টন। জীবনকাল ১৪৩ দিন। লম্বা ও চিকন চালের এ ধানের ভাত ঝরঝরে হবে।
আর ব্রি-ধান ১০৮-এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ৮ দশমিক ৫০ টন। জীবনকাল ১৪৬ দিন। চাল চিকন ও মাঝারি লম্বা, যা অনেকটা জিরাশাইল জাতের মতো। এটিরও ভাত হবে ঝরঝরে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত গম-৫ জাতটি আগাম ও উচ্চফলনশীল। গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ২০ থেকে ৫ টনের মতো। জীবনকাল ১০৭ দিন। এটি তাপসহিষ্ণু, ব্লাস্ট ও পাতার মরিচা রোগ প্রতিরোধী।