সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বলা হয়েছে, সরকার একদলীয় নির্বাচন নিয়ে আত্মতুষ্টিতে থাকলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট বর্জন করেছে। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের পক্ষে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের নির্বাচন করে এবং ভোটের নামে তামাশা করে সরকার জনগণের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। একতরফা নির্বাচন নিয়ে সরকার যতোই আত্মতুষ্টি ভোগ করুক না কেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ভোট বর্জন করেছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সহযোগীরাই কেবল নির্বাচনের দৌড়ে ছিলেন। দেখা গেছে, ভোটারদের অনুপস্থিতিতে ফাঁকা ভোটকেন্দ্রে তারা নিজেরাই ব্যালটে সিল মেরেছে। তারা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করেছে, সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছে এবং একে অপরকে হত্যা ও আহত করেছে।’
রিজভী বলেন, ‘সরকারের সব হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে নির্বাচন বর্জন করায় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দেশের সর্বস্তরের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
‘আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই- আমরা রাস্তায় আছি, জনগণের সঙ্গে আছি এবং জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকব। অবশ্যই আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনব।’
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে কমলাপুর রেলস্টেশনের কাছে লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগ করেন রিজভী।
এর আগে বৈধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে জনসমর্থন আদায়ে মঙ্গলবার ও বুধবার দু’দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।