দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, কোনোরকম সহিংসতায় জড়ানো যাবে না। মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় তিনি এমন নির্দেশনা দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে দেশের উন্নয়ন যাত্রা আরও এগিয়ে নিতে দলের নেতাকর্মীদের ঠাণ্ডা মাথায় চলতে হবে। কোথাও সহিংসতা বা সংঘাতে জড়ানো যাবে না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেয়া নেত্রীর বক্তব্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও দেশ পরিচালনার চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০২৪ সালে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেকদূর যেতে চাই। এই দেশে যারা অশুভ ও অপরাজনীতির পথ অবলম্বন করেছেন তাদের পক্ষে জনগণ থাকেনি। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও জনগণ অপশক্তির সঙ্গে থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনকে আমরা বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছি না। এগুলো দলটির নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার অপকৌশল। দেশের জনগণ বিপুল ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছে, যারা বর্জনের ডাক দিয়েছে তাদেরকেই তারা বর্জন করেছে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘ভবিষ্যতে কুচক্রিদের ওপর আমাদের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কিন্তু বিএনপি করে। এটা তাদের জনবিচ্ছিন্নতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে।
‘কোনো ক্ষতি যেন তারা করতে না পারে সে জন্য আমরা সর্বদা সতর্ক। সব কিছু মোকাবেলা করেই আওয়ামী লীগ আজকের বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবিচল।’
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হকসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা-মহানগরের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।