দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১ আসনে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র অন্য শক্তিশালী প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনি মাঠে লড়েছেন মুক্তিজোট প্রার্থী পরিচ্ছন্নতাকর্মী রোকেয়া বেগম।
রোকেয়া বেগমের ভাষ্য, নিজের জনপ্রিয়তা না থাকলেও তার আশা ছিল গরীব মনে করে ভোটাররা তাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করবেন। আর জয়যুক্ত হতে না পারলেও সম্মানজনক ভোট পাবেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হলো না। পেলেন মাত্র ৪৪ ভোট।
রোকেয়া বলেন, ‘এমন ভোট আশা করিনি।’হালুয়াঘাট উপজেলার গাজীর ভিটা ইউনিয়নের বোয়ালমারা গ্রামে জন্ম রোকেয়া বেগমের। পড়াশোনা করেছেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। তার বিয়ে হয়েছে ময়মনসিংহ সদরের পরানগঞ্জের ফারুক মিয়ার সঙ্গে। এক যুগের দাম্পত্য জীবনে রোকেয়ার ঘরে দুই সন্তান রয়েছে।
রোকেয়া জানান, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এখন তিনি মায়ের বাসায় থাকেন। হালুয়া ঘটের স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ও বাসা-বাড়িতে কাজ করে চলে তার সংসার।
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী হয়ে রোকেয়া বেগম এলাকাবাসীর মধ্যে আলোচনায় আসেন। কখনও মাইক্রোবাসে, কখনও সিএনজি চালিত অটোরিকশা, আবার কখনও পায়ে হেঁটে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে গণসংযোগ করে ভোট প্রার্থনা করেছেন তিনি। নির্বাচিত হলে গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, এ আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক সায়েম ৯৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীক নিয়ে জুয়েল আরেং পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৮৫২ ভোট। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের কাজল চন্দ্র মহন্ত পেয়েছেন ৪৬৭ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ৩৫৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে মার্শেল মালেশ চিরান পেয়েছেন ২৭৫ ভোট এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মোখলেছুর রহমান পেয়েছেন ১২৬ ভোট।
সবচেয়ে কম ভোট পাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে রোকেয়া বেগম বলেন, ‘নির্বাচিত হলে এলাকার ভাঙা রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ অসহায়-হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। নারীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়েও সোচ্চার থাকতাম। বড় বড় দলের সক্ষম ও সামর্থ্যবান প্রার্থীরা প্রচারে এগিয়ে গেছেন। তাই আমি ভোট কম পেয়েছি, ফেল করেছি।’