টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে নিজের ৬ কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন নবনির্বাচিত এমপি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। এ সময় তার নেতা-কর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখেন। এর তিন ঘণ্টা পর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর মধ্যস্থতায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে থেকে চারজনকে পুলিশ ছেড়ে দিলে মহাসড়ক ছেড়ে দেন অবরোধকারীরা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে লতিফ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করেন তার অনুসারীরা। পরে বিকেল তিনটার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।
অবরোধ চলাকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়; সৃষ্টি হয় উত্তেজনার। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
এ সময় পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে তার কর্মীদের মুক্তির দাবি করেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। বলেন, ‘অন্যায়ভাবে পুলিশ আমার নেতা-কর্মীদের আটক করেছে। তাদের ছেড়ে না দিলে এর থেকে কঠিন অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করব। আন্দোলন করা তো বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার কাজ থেকেই শিখেছি। এই আন্দোলন চলবে।’
তবে বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘নির্বাচন-পরবর্তী উত্তেজনা কাম্য নয়। এখানে উভয় পক্ষের ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমার কথায় চারজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। বাকি দুজনকে আদালতে পাঠানো হবে। তারপর জামিনে আজকেই মুক্ত করা হবে বলে পুলিশ কথা দিয়েছে।’
তবে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে কথা বলতে চাননি পুলিশ।
আব্দুল লতিফের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী ছেড়ে দেয়া ওই চারজন হলেন- উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হামমত আলী, পিন্টু, হৃদয় ও খোকা। তবে দুজনের নামে এজহার থাকায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।