দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় নেত্রকোণার পাঁচটি আসনের ২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে দুই সাবেক এমপি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেনসহ ১৮ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে।
ওই ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে চারজন লড়েছেন স্বতন্ত্র হয়ে। আর জাতীয় পার্টির পাঁচজন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের দুজন, তৃণমূল বিএনপির তিনজন, ইসলামী ঐক্যজোটের দুজন, জাসদের একজন ও বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আন্দোলনের হয়ে লড়েছেন একজন।
রোববার দ্বাদশ সংসদের ভোট হওয়ার পর ফলাফল বিশ্লেষণা করে এই চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচন কমিশনও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের কমপক্ষে আট ভাগের এক ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। সে হিসেবে পাঁচটি আসনের ১৮ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, নেত্রকোণা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে জামানত হারাচ্ছেন তিনজন। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আফতাব উদ্দিন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আহমদ শফী ও জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি গোলাম রব্বানী। আসনটিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোশতাক আহমেদ রুহী।
নেত্রকাণা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে জামানত হারাচ্ছেন পাঁচজন। তারা হলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এবিএম রফিকুল হক তালুকদার, জাতীয় পার্টির রহিমা আক্তার ওরফে আসমা সুলতানা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আজহারুল ইসলাম খান, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. ইলিয়াস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত চন্দ্র সরকার। এখানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু।
নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে জামানত হারাচ্ছেন চারজন। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, তৃণমূল বিএনপির মিজানুর রহমান খান, ইসলামী ঐক্যজোটের এহতেশাম সারওয়ার ও জাতীয় পার্টির জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া। এখানে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু।
নেত্রকোণা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) আসনে জামানত হারাচ্ছেন তিনজন। তারা হলেন তৃণমূল বিএনপির আল্-মামুন, জাসদের মুসফিকুর রহমান ও জাতীয় পার্টির লিয়াকত আলী খান। আসনটিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি সাজ্জাদুল হাসান।
নেত্রকোণা-৫ (পূর্বধলা) আসনে জামানত হারাচ্ছেন তিনজন। তারা হলেন তৃণমূল বিএনপির আব্দুল ওয়াহহাব হামিদী, জাতীয় পার্টির ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন। আসনটিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আহমদ হোসেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা করে জামানত জমা রেখেছিলেন। সে হিসাবে ১৮ জনের জামানত বাবদ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে।