দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় চট্টগ্রাম-১০ আসনের পাহাড়তলী কলেজ কেন্দ্রের সামনে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলির ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
ওই মামলায় পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করা সেই ব্ল্যাক শামীমের পাশাপাশি তার রাজনৈতিক গুরু কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুমানা চৌধুরীকেও আসামি করা হয়েছে।
এ দম্পতি ছাড়াও খুলশী থানায় করা মামলায় এজহারভুক্ত আরও তিনজন এবং অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়।
গুলিবিদ্ধ রিকশাচালক জামাল উদ্দিনের স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুজিবুর রহমান বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ দুজনের মধ্যে একজনের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে সোমবার রাতে পিস্তল হাতে থাকা শামীমকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবে বাহিনীটি।
এর আগে রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম-১০ আসনে পাহাড়তলী ডিগ্রি কলেজের বাইরে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলকপি প্রতীকের মোহাম্মদ মনজুর আলমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কেন্দ্রের দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে ঘটা এ সংঘর্ষে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের দিকে গুলি ছুড়েন শামীম আজাদ নামের এক যুবক।
শামীমের গুলি করার একটি ছবি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, শামীম আজাদ স্থানীয় কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা। এলাকায় ব্ল্যাক শামীম নামে পরিচিত এ ছাত্রলীগ নেতার নামে নগর ও জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।
পাহাড়তলী কলেজের বাইরের ওই সংঘর্ষে শান্ত বড়ুয়া ও মো. জামাল নামের দুজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে মো. জামালের স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে খুলশী থানায় মামলা করেন।