চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে চারটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যানসহ ৯৭ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেয়া আসনে জাতীয় পাটির এক নেতাও রয়েছেন। ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মোট কাস্ট হওয়া ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ না পেলে কমিশনে জমা দেয়া জামানতের টাকা সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ফিরে পাওয়ার বিধান নেই। সে হিসাবে জামানতের এসব অর্থ চলে যাবে সরকারি কোষাগারে।
চট্টগ্রাম-২ আসনে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনএফ চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ এবং চট্টগ্রাম-১২ আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম-৮ আসনে জাতীয় পার্টির সোলায়মান শেঠের জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
ভোটে ফল বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৫ আসনে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের চেয়ারম্যান তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী নাজিম উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম-১০ ও ১১ আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মহাসচিব আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদিনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম-১ আসনে ৭ প্রার্থীর পাঁচজন, চট্টগ্রাম-২ আসনে ৯ জনের মধ্যে সাতজন, চট্টগ্রাম-৩ আসনে ৮ জনের মধ্যে ছয়জন ও চট্টগ্রাম-৪ আসন ৮ জনের মধ্যে ছয় প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৫ আসনে ৮ জনের মধ্যে ছয়জন, চট্টগ্রাম-৬ আসনে ৫ জনের মধ্যে চারজন, চট্টগ্রাম-৭ আসনে ৬ জনের মধ্যে পাঁচজন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে ১০ জনের মধ্যে আটজন ও চট্টগ্রাম-৯ আসনে ৭ জনের মধ্যে ছয়জন জামানত হারিয়েছেন।
অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম-১০ আসন ১০ জনের মধ্যে আটজন, চট্টগ্রাম-১১ আসনে ৬ জনের মধ্যে পাঁচজন, চট্টগ্রাম-১২ আসনে ৯ জনের মধ্যে সাতজন, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ৭ জনের মধ্যে ছয়জন, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ৮ জনের মধ্যে ছয়জন, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৭ জনের মধ্যে পাঁচজন ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ৯ জনের মধ্যে সাতজন জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।