দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সমালোচনা করেছেন বগুড়া-৪ আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেস দল মনোনীত প্রার্থী হিরো আলম। এটাকে নাটকীয় নির্বাচন বলেও উল্লেখ করেছেন ডাব প্রতীকের এই প্রার্থী।
বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সোমবার ভোট বর্জনের কাগজ জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের হিরো আলম একথা বলেন।
বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন হিরো আলম। তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ‘ডাব’ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন।
হিরো আলম বলেন, ‘গতকালের (রোববার) নির্বাচন ছিল একটা নাটকীয় নির্বাচন। এ আসনে প্রতিবারই আমার সঙ্গে দুর্নীতি করা হয়। এবারও করবে সেটা আগে থেকেই জানতাম। তারপরও দেশবাসীর কাছে এটা প্রমাণ করার জন্য নির্বাচনের মাঠে ছিলাম।
‘আমি ইচ্ছে করলে গতকাল (রোববার) সকালেই ভোট বর্জন করতে পারতাম। কিন্তু করিনি। কারণ আপনারা শেষ পর্যন্ত দেখেন মাঠে কী হয়; আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ভোট করে নাকি জাল ভোট করে। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা দেখবে কোথা থেকে? তাদের চোখে ছানি পড়েছে। ওরা দেখতেই পায় না।’
বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর এই প্রার্থী বলেন, ‘আমরা সারাদিন নির্বাচন মাঠে ঘুরেছি। আমার এজেন্টদের বলা হয়েছে, আলম যদি কেন্দ্রে আসে তখন তাকে যেন বলা হয় ভোট খুব ভালো হচ্ছে। কিন্তু আমরা চলে আসার পর দুপুরে লাঞ্চের সময় তারা সিল মারছে।
‘এছাড়া কিছু সিল মারায় (মেরে) নিয়ে এসেছিল ওরা। আমরা যখন কেন্দ্রে যাই তখন প্রতিটি কেন্দ্রে দুইটা, ১৫টা, ৯৬টা করে ভোট পড়েছে।’
হিরো আলম বলেন, ‘আমি এবার ভোট পেয়েছি ২৪ হাজার ৬০০। কিন্তু আমার ভোট দেখানো হয়েছে মাত্র দুই হাজার ১০০। যে জায়গায় গতবার আমি ১৯ হাজার ভোট পেয়েছিলাম, এবার দুই হাজার ভোট পাই? হিরো আলমের জনপ্রিয়তা কি এতই কমে গেছে?’
বাংলাদেশ কংগ্রেসের এই প্রার্থী বলেন, ‘জিয়াউল হক (ঈগল প্রতীক) বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা। তার এতো ভোট পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যে জায়গায় বিএনপি ভোট দিতে যায়নি, সেখানে উনি এতো ভোট পেলেন কীভাবে?’
হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা যখন কেন্দ্র থেকে রেজাল্ট ঘোষণা করবেন, তার আগে আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের গণনা করা ফলাফলের রেজাল্ট শিট নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে তাদের তৈরি করা রেজাল্ট শিট হাতে ধরিয়ে দেন এবং তাদের রেজাল্ট শিট ঘোষণার নির্দেশ দেন।
‘এভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে তারা অনিয়ম করেছে। কাজেই আমি এই ফলাফল মানি না। আর এই নির্বাচন নিয়ে সরকার কতটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সেটা আপনারা নিজেরাই দেখেছেন।’