বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এস আলমের অর্থপাচার নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি ১৫ জানুয়ারি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৮:১৩

আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি আজ আদালতে উপস্থিত না থাকায় আদালত এ বিষয়ে শুনানি নট টুডে রেখেছেন। তার মানে আগামী সোমবার শুনানির জন্য তালিকায় থাকবে।’

এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের সিঙ্গাপুরসহ বিদেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদনের শুনানির জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।

বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার এ দিন ঠিক করে দেয়।

আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি আজ আদালতে উপস্থিত না থাকায় আদালত এ বিষয়ে শুনানি নট টুডে রেখেছেন। তার মানে আগামী সোমবার শুনানির জন্য তালিকায় থাকবে।’

এর আগে গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেয় চেম্বার আদালত।

ওই দিন আদালতে এস আলমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি, আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

এস আলমের অর্থ পাচার নিয়ে গত বছরের ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেই প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন।

পরে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এস আলম গ্রুপের অর্থ বিদেশে পাঠানোর অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে এ অর্থ পাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

যা আছে প্রতিবেদনে

এস আলম নিয়ে পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো অনুমতি তিনি নেননি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাইরে বিনিয়োগের জন্য এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিলেও চট্টগ্রামভিত্তিক বিশাল এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম সেই তালিকায় নেই। কাগজপত্রে আরও দেখা যায়, গত এক দশকে সিঙ্গাপুরে এস আলম অন্তত দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য যে সম্পদ কিনেছেন এবং সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নথির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেয়া হয়েছে, তবে এই পরিমাণ অর্থ ২০০৯ সালের পর সিঙ্গাপুরে এস আলমের কেবল দুটি হোটেল ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনার ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারের দশ ভাগের এক ভাগ মাত্র।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিতে আরও দেখা যায়, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে ১ লাখ ৭ হাজার ডলার পাঠিয়েছে, যার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানও এস আলমের মালিকানাধীন নয়।

এ বিভাগের আরো খবর