ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বিলুপ্তপ্রায় একটি নীলগাই উদ্ধার করে জবাই করে খেয়ে ফেলেছে এলাকাবাসী। রোববার উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের ভেলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সূত্র: ইউএনবি
স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে এলাকার পুকুরপাড়ের ঝোপঝাড়ে ছোটাছুটি করছিল একটি নীল গাই। গ্রামের কয়েকজনের নজরে এলে তারা সেটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক গ্রামবাসী সেখানে ভিড় জমান। এক পর্যায়ে তারা নীলগাইটি জবাই করে গোশত ভাগাভাগি করে নেন।
রাতোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায় বলেন, ‘গ্রামবাসী একটি নীলগাই আটক করে জবাই করে গোশত ভাগাভাগি করে নিয়েছে বলে শুনেছি। কাজটি তারা ঠিক করেনি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, খবর পেয়ে বন বিভাগের লোককে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
বন বিভাগ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমাদের একটি দল পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নীলগাই বিপন্ন প্রাণীর তালিকভুক্ত। এগুলো হত্যা আইনগতভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ঠাকুরগাঁও জেলায় পাহাড়ি অঞ্চল থেকে মাঝেমধ্যে নীলগাই লোকালয়ে নেমে আসে। এটি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ৮টি নীলগাই উদ্ধার হয়েছে এই জেলায়। তবে সেগুলোর একটিও বেঁচে নেই।
নীলগাই দেখতে কিছুটা ঘোড়ার মতো। দেহের পেছনটা কাঁধ থেকে নিচু। কারণ সামনের পা পেছনের পা থেকে লম্বা। ঘাড়ে বন্য শূকরের কেশরের মতো ঘন লোম থাকে। মর্দা নীলগাইয়ের গাত্র বর্ণ গাঢ় ধূসর, প্রায় কালচে রঙের।
অনেক সময় গায়ে নীলচে আভা দেখা যায় বলে এদের নীলগাই নামকরণ। মাদী নীলগাই ও শাবকের গাত্র বর্ণ লালচে বাদামী কিন্তু খুরের উপরের লোম সাদা। গাল, চোখের নিচ ও পেছনে দুটি সাদা ছোপ থাকে। ঠোঁট, থুতনি, কানের ভেতরের দিক ও লেজের নিচের তলদেশ সাদাটে।