দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে যে ভোট পড়েছে তা মোট ভোটের ৪১.৮ শতাংশ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাপানের রাষ্ট্রদূত ও জাপান থেকে আসা নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সম্পূর্ণ তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। সেই রেজাল্টের ভিত্তিতে এখন বলতে পারি, মোট ভোট পড়েছে ৪১.৮ শতাংশ।
ভোটের দিন দুপুর ৩টায় ২৭ শতাংশ ভোট পড়ে বলে ইসি সচিব জানিয়েছিলেন, এর পর সাড়ে ৫টায় সেটা ৪০ শতাংশ বলে জানানো হয়- এটা কীভাবে হলো, এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘টোটাল ২৯৮টি আসনের রেজাল্ট যখন আসা শুরু করলো, তখন ওটা যোগ করলে একটা যোগফল বের হয়, এটা কোনো কঠিন কাজ নয়। এই যোগফল একটা এক্সেলে ফেলে দিলে একটা পারসেন্টেন্স বের হয়ে আসে।’
তিনি বলেন, ‘যখন ২টার সময় বলি, তখন এটা পুরোপুরি পার্সেন্টেজ না, আবার যখন ৪টায় সময় বলি তখনও এটা পুরোপুরি পার্সেন্টেজ না। এটা কোনভাবেই সঠিক হওয়ার কথা না। তবে এখন সব রেজাল্ট আমাদের হাতে চলে আসছে। সেই রেজাল্টের ভিত্তিতে এখন বলতে পারি মোট ভোট পড়েছে ৪১.৮ শতাংশ।
‘এটা নিয়ে কারো যদি কোন দ্বিধা থাকে তাহলে তিনি এটা চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। কেউ যদি মনে করেন, এটা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে তাহলে সে চ্যালেঞ্জ করলে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো।’
রোববার সারা দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোট হয়। একটি আসনের প্রার্থীর মৃত্যুতে এবার ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। পরে ভোটের শেষ মুহূর্তে এসে একটি আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়।
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা জয়ী হন ১৮৯টি আসনে। ৬০টিতে জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ ছাড়া লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ১১টি আসনে বিজয়ী হন।
এর আগের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল গড়ে ৮০ শতাংশের মতো। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা কমিশনের অধীনে ওই ভোট হয়।
একাদশ সংসদের ভোটে ২৯৮টি আসনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হন ২৫৯টি আসনে। তাদের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পায় ২৮৮ আসন। ওই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এবার টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় বসছে দলটি।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৮৭.১৩ শতাংশ। দেশের জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে সেটাই সর্বোচ্চ। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ভোট পড়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে।