সিলেট-৬ আসনের নির্বাচন নিয়ে এবার নানামুখী আলোচনা ছিল। গুঞ্জনও ছিল অনেক, তবে সব জল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে শেষ হাসি হেসেছেন আসনের নৌকার প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।এ আসনে ১৬ হাজার ৪৮৬ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে নৌকা প্রতীক।নৌকা প্রতীকে ৫০ হাজার ৯০ ভোট পেয়ে জয়ী হন নুরুল ইসলাম নাহিদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন ঈগল প্রতীকে ৩৩ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী। তিনি সোনালি আঁশ প্রতীকে পান ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট।প্রতিবার সংসদ নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে সিলেট-১ আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনায় ছিল সিলেট-৬ আসন। বিশেষত তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী এ আসনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে আলোচনার শীর্ষে চলে আসে সিলেট-৬।
শমসরকে আওয়ামী লীগ এই আসনে ছাড় দিতে পারে বলেও আলোচনা ছিল। নির্বাচনের কয়েক দিন আগে নাহিদ ও শমসেরকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পর এ আলোচনা আরও ডালপালা মেলে। এরপর থেকে শমসেরের পক্ষে ভোটের প্রচারে নামেন আওয়ামী লীগেরও অনেক নেতা-কর্মী।
উন্নয়নবিমুখতার অভিযোগে নাহিদও এবার এলাকায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। এ কারণে নুরুল ইসলাম নাহিদের বিজয় নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন নেতা-কর্মীরা। শেষ সময়েও নানা গুঞ্জন ছিল এ আসন নিয়ে, তবে আবারও নৌকা প্রতীকে নুরুল ইসলাম নাহিদকেই বেছে নিলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের মানুষ। সাবেক এ শিক্ষামন্ত্রীই হেসেছেন শেষ হাসি।
বিভিন্ন কেন্দ্রের ফল থেকে নাহিদের বিজয় নিশ্চিত হলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নেতা-কর্মীরা।
এ আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী ছাড়াও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী, কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরোয়ার হোসেন। এ ছাড়া লাঙ্গল প্রতীকে সাবেক হুইপ সেলিম উদ্দিনও ছিলেন আলোচনায়।