সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বর্জনের ডাক জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচন জনগণের বিজয়। এটা গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করবে।
রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা প্রতিহত করতে চেয়েছিল। তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। বিএনপি এবং তাদের সমমনারা যে নির্বাচন বর্জন করেছে সেই নির্বাচনে ভোটাররাই বিএনপিকে বর্জন করেছে।
‘নাশকতা, অগ্নিসংযোগ ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নির্বাচনে সব ভোটার, নতুন প্রজন্মের ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের বর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। হরতাল-অবরোধ দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তারপরও জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। ভোট প্রদানে কোনো প্রকার ভয়-ভীতি, হস্তক্ষেপ হয়নি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। নির্বাচনে ভোট দেয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। আশা করি এই নির্বাচনে নৌকা মার্কা বিজয়ী হবে।
‘শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা, সাহসিকতায় নৌকার পক্ষে রায় আসবে বলে মনে করি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জনগণের বিজয়।’
তিনি বলেন, আজকে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা, একজনের দুঃখজনক মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আমাদের পার্টির প্রধান শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, সরকার প্রধান হয়েও স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে। আজ সবাই তা প্রত্যক্ষ করেছেন। সর্বাত্মক সহযোগিতা করা, ফ্যাসিলিটেড করা, কো-অপারেশন দিয়ে শেখ হাসিনা যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।