কোটালীপাড়ায় নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সারা দেশের সঙ্গে রোববার সকাল ৮টা থেকে কোটালীপাড়া উপজেলার ৭৭টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে বাড়তে থাকে ভোটার উপস্থিতি। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোট প্রদান করেন।
এই উপজেলায় ভোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১ হাজার ৫৭৮ জন। তাদের মধ্যে পুরষ ভোটার ১ লোখ ৩ হাজার ৭১৬ এবং নারী ভোটার ৯৭ হাজার ৮৬২ জন।
উপজেলার কান্দি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা কলেজ ছাত্রী শাকিলা খানম বলেন, ‘আমি বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজে লেখাপড়া করছি। ভোট দেয়ার জন্য বাড়িতে এসেছি। আমার বাড়ি কান্দি ইউনিয়নের মাচারতারা গ্রামে। আমি এক সময় এই কান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছি। তখন নৌকায় চড়ে স্কুলে আসতাম। আসা-যাওয়ায় প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লাগতো। এখন বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে ১০ মিনিটেই কান্দি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছে ভোট দিলাম। এই অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে আমার জীবনের প্রথম ভোটটি আমি নৌকা মার্কায় দিয়েছি।’
উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের শুয়াগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার মিনাক্ষী মল্লিক বলেন, ‘আমি গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়ে আজ ভোরে কোটালীপাড়ায় এসে ভোট দিলাম। এটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্যই সম্ভব হয়েছে। তিনি দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমরা চাই তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন।’
এদিকে শেখ হাসিনার বিপক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আরও ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম নিজামউদ্দিন (একতারা), জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্লা (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মো. সহিদুল ইসলাম মিটু (ডাব), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ আবুল কালাম (আম) ও গণফ্রন্ট পার্টির সৈয়দা লিমা হাসান (মাছ)।