বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোট ৪০ শতাংশের মতো, আরও বাড়তে পারে: সিইসি

সিইসি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টায় সারা দেশে আমরা যতটুকু তথ্য পেয়েছি, তাতে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে, তবে এটাই শেষ তথ্য নয়। সব হিসাব-নিকাশ শেষে এটা আরও বাড়তে পারে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে গড়ে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সংখ্যাটি নিশ্চিত নয়; আরও বাড়তে পারে।

ভোটগ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

দেশজুড়ে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলে বিকেল ৪টা নাগাদ।

সিইসি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টায় সারা দেশে আমরা যতটুকু তথ্য পেয়েছি, তাতে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে, তবে এটাই শেষ তথ্য নয়। সব হিসাব-নিকাশ শেষে এটা আরও বাড়তেও পারে।’

তিনি বলেন, ‘সারা দিনই আমি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম দেখছিলাম। সেখানে যেসব গণমাধ্যমের মালিক এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, তাদের গণমাধ্যম মোটামুটি নিরপেক্ষভাবে সুন্দরভাবে নির্বাচন তুলে ধরেছেন। সকালে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থা দেখেছি। পরে টিভির তথ্য থেকে মনে হয়েছে সহিংসতার মতো গুরুতর ঘটনা ঘটেনি।

‘তারপরও যা ঘটেছে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা গ্রেপ্তার করেছি, মামলা করেছি। শেষ মুহূর্তে দুজন নির্বাচনি কর্মকর্তা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সে জন্য তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই।’

নির্বাচনি সহিংসতা নিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনি সহিংতায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কিছু কিছু অভিযোগ এসেছে ব্যালটে সিল মারার। আমাদের মনিটরিং সেল সেটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।

‘আমরা ক্রস চেক করে যখন দেখেছি, ঠিক তখন ব্যবস্থা নিয়েছি। শেষ মুহূর্তে একজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছি।’

ভোট পড়ার হার কম হওয়া নিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বলেন, ‘নির্বাচনে একটি বড় দল নির্বাচন বর্জন করে ভোট থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করে। সে জন্য ভোট কিছুটা কম পড়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যালটে সিল মেরেছে।

‘আমরা কিছু ধরেছি। সেগুলোকে চূড়ান্ত গণনা থেকে বাদ দেয়া হবে। কারণ সেগুলোর পেছনে সিল বা সাইন নেই।’

সিইসি বলেন, ‘সরকারের যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে একটি দলীয় সরকারের অধীনেও ভালো নির্বাচন করা যায়, সেটি আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। সরকারের নিরপেক্ষ দৃষ্টি ছিল বলেই আমরা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে সক্ষম হয়েছি।’

এর আগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মুখপাত্র ও সচিব মো. জাহাংগীর আলম বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রথম ৭ ঘণ্টায় সারা দেশে ভোট পড়ে ২৭ শতাংশ।

তিনি বলেছিলেন, সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সারা দেশের বিভাগভিত্তিক ভোটের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২৭ শতাংশ, সিলেটে ২২ শতাংশ, বরিশালে ৩১ শতাংশ, খুলনায় ৩২ শতাংশ, রংপুরে ২৬ শতাংশ, রংপুরে ২৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ২৬ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ২৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। সব মিলিয়ে আটটি বিভাগে গড়ে ভোট পড়ে ২৭ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর